Some Important Website

বাংলা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট সমুহ

Wednesday, August 10, 2016

২৩।পৃথিবীর বিস্ময়কর কিছু সত্য ঘটনা এবং মজার সব তথ্য ।

১।মাদাম তুসোর জাদুঘর

জাদুঘরে রক্ষিত মোমের মূর্তিগুলোর মাথায় প্রতিটি চুল পৃথকভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। একটি মূর্তির মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করতে প্রায় পাঁচ সপ্তাহ সময় লাগে।
 জাদুঘর খোলার আগে প্রতিদিন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ দল মূর্তিগুলো দেখভাল ও পরিপাটি করে।
 একজন ব্যক্তিত্বের মূর্তি বানানো সম্পূর্ণ করতে প্রায় চার মাস সময় লাগে।
 মোমের মূর্তি বানাতে প্রায় আড়াই শ বার শরীরের মাপ নিতে হয় এবং বিভিন্ন কোণ থেকে প্রায় ১৮০টি ছবি তুলতে হয়। এ ক্ষেত্রে যদি ওই ব্যক্তিত্ব অনুপস্থিত থাকেন, তবে জাদুঘরের স্টুডিও ভাস্কর তাঁর কয়েক শ ছবি বা ভিডিও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে এটি বানান।
 মিডিয়া ও দর্শকদের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেলিব্রেটিদের শরীরের মাপ প্রকাশ করে না।
 মোম ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়, তাই মোমের মূর্তি সেলিব্রেটির শরীর থেকে প্রায় দুই শতাংশ বড় করে বানানো হয়।
 লাল সিল্কের সুতা দিয়ে মূর্তিগুলোর অক্ষিগোলকের শিরা বানানো হয়।
 পরিচর্যার অংশ হিসেবে প্রায় নিয়মিত মূর্তিগুলোর চুল ধোয়া ও মেকআপ করা হয়।
 প্রতিটি মূর্তি বানাতে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ডলার খরচ হয়।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে: সামসুল আলম, সূত্র: উইকিপিডিয়া

২।ষাঁড়ের দৌড় উৎসব



স্পেনের পাম্পলোনা শহরে ষাঁড়ের দৌড় উৎসব হলো স্পেন এবং পুরো বিশ্বের এক আলোচিত ঘটনা। ১৯১১ সাল থেকে চলে আসছে ষাঁড় আর মানুষের মধ্যে শক্তি পরীক্ষার এ বিপজ্জনক লড়াই আর অ্যাডভেঞ্চারের উৎসব। শুধু স্পেনের মানুষই নয়, এ উৎসবে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অ্যাডভেঞ্চার বিলাসীরা প্রতিবছর পাম্পলোনায় এসে জড়ো হন। স্পেনের এ উৎসব যথেষ্ট হইচইয়ে ভরা। চলে জুলাইয়ের সপ্তাহজুড়ে। সারারাত পানভোজনের পর সকাল...বেলায় তাগড়া চেহারার ষাঁড়দের খেপিয়ে দিয়ে তাদের আগে-পরে দৌড়। এরপর সেই ষাঁড়দের লড়াইয়ের অ্যারিনার মধ্যে টেনে এনে সেখানে ম্যাটাডোরের লড়াই। এই হচ্ছে মোটের ওপর উৎসবের চেহারা। এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ বিপজ্জনক খেলায়। প্রতিবছরেই ষাঁড়ের দৌড়ের বার্ষিক উৎসবে দু-চারজন করে আহত হয় স্পেনের পাম্পলোনা শহরে। কিন্তু তাতে মানুষের উৎসাহে তেমন ভাটা পড়েনি, বরং দিনদিন বেড়ে চলছে এর জনপ্রিয়তা।

৩।জার্মানির মেগদেবারগ ওয়াটার ব্রিজ


নিচের ছবিতে যেই ব্রিজটি দেখছেন তা হচ্ছে জার্মানির মেগদেবারগ ওয়াটার ব্রিজ।। একটি নদী আরেকটি নদীকে ক্রস করাতে এই পানির ব্রিজটি তৈরি করা হয়।। জার্মানীর এলবি নদীর উপর অবস্থিত এই ব্রিজটি জার্মানীর ২টি গুরুত্বপূর্ণ শিপিং ক্যানেল এলবি-হ্যাভেল ক্যানেল এবং মিডল্যান্ড ক্যানেলকে সংযুক্ত করেছে।। ৯১৮ মিটার লম্বা এই ব্রিজটি তৈরিতে খরচ হয়েছে মোট ৫০০ মিলিয়ন ইউরো।। ১৯৯৭ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয় আর শেষ হয় ২০০৩ সালে, অর্থাৎ মোট সময় লাগে ৬ বছর।।

৪।জানা অজানা 

►► আপনি জানেন কি, সুইজারল্যান্ডের মানুষরা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চকোলেট খায়?? কতো বেশি জানেন?? গড়ে প্রতিজন খায় বছরে প্রায় ১০ কেজি করে!!
...
►► অস্ট্রেলিয়া মহাদেশই হলো একমাত্র মহাদেশ যেখানে কোনো জীবিত আগ্নেয়গিরি নেই!!

►► প্রতি মিনিটে পুরো বিশ্বে ৬০০০ বা তার অধিকবার বজ্রপাত হয়!!

►► আফ্রিকা মহাদেশে অন্য যেকোনো প্রাণীর আক্রমনের চেয়ে জলহস্তীর আক্রমনে বছরে বেশি মানুষ মারা যায়!!

►► আপনি জানেন কি, ফ্রেন্স ফ্রাইের আসল জন্মস্থান ফ্রান্সে নয়, বরং বেলজিয়ামে??

►► কোথাও ভ্রমন করার সময় মানুষ কোন জিনিসটা নিতে সবচেয়ে বেশি ভুলে যায় জানেন?? টুথব্রাশ!!
►► আপনি জানেন কি, অগাস্ট মাসে জন্মহার অন্য সব মাসের চেয়ে বেশি?? অর্থাৎ, বিশ্বে অগাস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি জন্মদিন পালন করা হয়!!

►► যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো খাবার আপনার মুখের লালার সাথে না মিশে আপনি ততক্ষণ সেই খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন না!!
...
►► আপুরা জানেন কি, অধিকাংশ লিপস্টিক তৈরিতে মাছের আঁশ ব্যাবহার করা হয়??

►► আপনি জানেন কি, পাখিদের খাদ্য গেলার জন্য অভিকর্ষজ বলের প্রয়োজন হয়?? অর্থাৎ, কোনো পাখিকে যদি চাঁদে নিয়ে খাবার খেতে দেয়া হয় তবে সেটি খাবার গিলতে পারবে না!!

►► আপনি জানেন কি, ইংরেজি বর্ণমালায় সর্বাধিক ব্যাবহার করা বর্ণ হলো "E" এবং সবচেয়ে কম ব্যাবহার করা বর্ণ হলো "Q"??
►► আপনি জানেন কি, মেয়েদের হার্ট(Heart) ছেলেদের হার্টের চেয়ে দ্রুত স্পন্দিত হয়??

►► আপনি জানেন কি, প্রাচীনকালে মিশরে মমি পুড়িয়ে আগুন তৈরি করা হতো?? কারণ, সেখানে কাঠের সল্পতা ছিলো, কিন্তু মমির কোনও সল্পতা ছিলো না!!
...
►► অ্যান্টার্কটিকাতে সবচেয়ে মোটা (প্রস্থে) বরফের টুকরাটি কতো মোটা জানেন?? ৩ মাইল!!

►► শুধু হৃৎপিণ্ডই নয়, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এমনকি চোখের পাতাও দ্রুত ফেলে!! (প্রায় দিগুন দ্রুত)
►► পৃথিবীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সালে লিবিয়ার আল জিজিয়া নামক স্থানে।। সেখানে তাপ মাত্র রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩৬,৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট অর্থাত ৫৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস!!

►► চার ঘন্টার ভেতর ১০০ কাপ কফি পান করলে মৃত্য অবধারিত!!
...
►► ৯৯% লোকই যখন তাদের পাসোয়ার্ডের একটি অক্ষর ভুল করে, তখুনি সে পুরো পাসোয়ার্ড ব্যাকস্পেস দিয়ে ডিলিট করে ফেলে এবং পুনরায় টাইপ করে!!

►► যুক্তরাষ্টের ৭০ শতাংশ নাগরিক চাঁদে অবতরণের ঘটনাটি বিশ্বাস করে না!!

►► অনলাইনে প্রতি মিনিটে পর্নো দেখে প্রায় ২০ লাখ মানুষ!! 
►► অস্ট্রেলিয়াতে বাচ্চারা সিগারেট কিনতে পারবে না!! কারণ এটা আইনবিরোধী!! কিন্তু সিগারেট খেতে/টানতে পারবে!! এতে কোনো বাধা নেই!!

►► ইংল্যান্ডে টেলিভিশন ব্যাবহার করার জন্য লাইসেন্স করতে হয়!! (একটু কনফিউশন আছে।। ইংল্যান্ডে যারা আছেন তারা কি বলতে পারবেন ঘটনা সত্য কিনা??)
...
►► থাইল্যান্ডে গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে শার্ট পড়তে হবে!! অর্থাৎ, আপনি খালি গায়ে গাড়ি চালাতে পারবেন না!!

►► আমেরিকার ফ্লোরিডাতে আপনি যদি পার্কিং স্পটে কোনো হাতি বেঁধে রাখেন, তবে আপনাকে সেই হাতির জন্য পার্কিং ফি দিতে হবে!!

►► বিস্ময়কর একটা আইন জানাচ্ছি এইবার!! আমেরিকার নিউইয়র্কে কোনো উঁচু বিল্ডিং থেকে লাফিয়ে পড়ার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড!! (অর্থাৎ, কেউ লাফিয়ে পড়ে যদি বেঁচে যায় তবে তাকে সুস্থ করে বাঁচিয়ে তুলে এরপর আবার মেরে ফেলা হবে!!)
►► রঙ্গিন টেলিভিশন আবিস্কারের পর থেকে মানুষের সাদাকাল স্বপ্ন দেখার হার কমে গেছে!!

►► আফ্রিকান সিসাডা মাছি (cicada fly) ১৭ বছর ঘুমিয়ে কাটায়!! ঘুম ভাঙার পর এরা মাত্র ২ সপ্তাহ বেঁচে থাকে!! সেই সময়ে এদের প্রধান কাজ হলো বংশবৃদ্ধিতে অংশগ্রহন!!
...
►► DELL কম্পিউটার কোম্পানির মালিক মাইকেল ডেল মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১০০০ ডলার নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন!!

►► জাপানের মোট স্থলভাগের ৭০% এর বেশি হলো পাহাড়!! এর মধ্যে আছে ২০০ এর বেশি আগ্নেয়গিরি!!

►► আশ্চর্যজনক একটা তথ্য দেই, আমেরিকার নিউইয়র্কে বছরে ১,৬০০ লোক অন্য মানুষের কামড়ে আহত হয়!! :O
►► পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ মৌল হলো "এস্তেতিন"!! সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে!!

►► আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে!!
...
►► সোনা অনেক দুর্লভ!! দাম তো আকাশচুম্বী!! কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে(স্থলভাগ এবং জলভাগ মিলিয়ে) তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে(শুধু স্থলভাগ) হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে!!

►► ফেব্রুয়ারী ৫ হচ্ছে আন্তর্জাতিক চুমু দিবস!! কে কে জানতেন??

►► পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড হচ্ছে ৩৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড!! এটা করা হয়েছিলো ২০১০ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডে তে!! এই যুগলকে(ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে) পরে অক্সিজেন দিয়ে ট্রিটমেন্ট দিতে হয়েছিলো!! 
►► আপনি জানেন কি, বাচ্চারা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বসন্তকালে দ্রুত বড় হয়??

►► হেঁটে হেঁটে সূর্যে যেতে চান?? ২০০০ বছর সময় লাগবে!! হাঁটতে হবে মিনিটে ৯০-১০০ কদম গতিতে!!
...
►► রাবার ব্যান্ড ফ্রিজে রেখে দিলে বেশিদিন টিকে!!

►► বিশ্বের বৃহত্তম চুল রপ্তানিকারক দেশ ভারত!!

►► সুইজারল্যান্ডে শব্দ করে গাড়ির দরজা আটকানো বেআইনি!!
এক কলোনির পিঁপড়েরা অনেক সময় অন্য কলোনি আক্রমণ করে বসে!! আক্রমণ করে মূলত অন্য কলোনিতে জমানো খাবার আর বাচ্চাদের নিয়ে যেতে!!
►► টাইগার শার্ক (হাঙরের একটি প্রজাতি) এর বাচ্চারা মায়ের পেটে থাকাকালীন অবস্থায় একে অপরের সাথে মারামারি শুরু করে।। যেটা বেঁচে থাকে সেটা জন্ম নেয়।। অন্যটা পেটেই মারা যায়!!

►► একটা মানুষের শরীরের সবটুকু রক্ত খেয়ে ফেলতে কয়টি মশার প্রয়োজন জানেন?? ১,২০০,০০০!!
...
►► ব্রাজিলে বর্তমানে ৪ মিলিয়নেরও বেশি গাড়ি "গেসোহল" নামক জ্বালানি দিয়ে চলছে।। এই "গেসোহল" নামক জ্বালানীটি তৈরি হয় আখ বা Sugarcane থেকে!!

►► মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারনে, চাঁদ যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে তখন পৃথিবীতে উপস্থিত সকল বস্তুর ওজনই খানিকটা কমে যায়!! (খুবই সামান্য)

►► আপনি যদি খুব বেশি পরিমাণ গাজর খান তবে আপনার গাঁয়ের রঙে কিছুটা পরিবর্তন চলে আসবে!!

►► একজোড়া হাতির দাঁতের ওজন ৯ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে!!
►► ব্রাজিলে এক ধরনের প্রজাপতি পাওয়া যায় যাদের শরীরের রঙ ও গন্ধ হুবহু চকোলেটের মত!!

►► সাপ যে সমস্ত প্রাণী মাংস খায় তাদের মাংসাশী প্রাণী বলে!! তবে প্রায় প্রতিটি মাংসাশী প্রাণীই কিছু না কিছু উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে!! কিন্তু এই সাপ হচ্ছে সত্যিকারের মাংসাশী প্রাণী, এরা মাংস ছাড়া আর কোনো কিছুই খায় না!!
...
►► কুমির চিবোতে পারে না!! শিকারকে ধরার পর সরাসরি গিলে ফেলে!!

►► থাইল্যান্ডে ঘুড়ি ওড়ানো এক ধরনের পেশাদার খেলা!!

►► হাসার জন্য ব্রেন এর পাঁচটি অংশের কার্যক্রম এর প্রয়োজন হয়!! তাই হাসাটা এত সহজ নয়!!

►► একজন সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষের পক্ষে তার নিজের কনুই চাটা একেবারেই অসম্ভব!!
►► একজন মানুষ কোনো খাবার না খেয়ে বাঁচতে পারে এক মাস, কিন্তু পানি পান না করলে এক সপ্তাহের বেশি বাঁচতে পারে না!!

 ►► প্রতি এক হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপ ছানার মধ্যে মাত্র একটি ছানা জন্মের পর টিকে থাকতে পারে!!

 ►► আমরা তো খাবার খেয়েই ভাবি কাজ শেষ!! এ খাবার পুরোপুরি হজম করতে পেটের কতক্ষণ সময় লাগে জানেন?? প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা!!

 ►► নীল চোখের মানুষ অন্ধকারে ভালো দেখতে পায়!!

 ►► একজন মানুষ এর পক্ষে কখনই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেয়া সম্ভব না!! (চেষ্টা করে দেখুন!!)

 ►► সবচেয়ে মজার তথ্যটি দিচ্ছি এখন, প্রাচীনকালে রোমান সৈন্যরা এক ধরনের বিশেষ পোশাক পরত, এখন মেয়েদের কাছে ওই বিশেষ পোশাকটাই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়!! পোশাকটার নাম স্কার্ট!!
►► "এল ক্লাসিকো" হলো একটি ফুটবল ম্যাচ যা স্পেনের দুটো ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যে হয়ে থাকে!!

 ►► বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবটি গঠিত হয় ১৮৯৯ সালে!! অপরদিকে রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব গঠিত হয় ১৯০২ সালে!!

 ►► বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক খেলায় এই পর্যন্ত ২১৫ বার এই দুই দল পরস্পরের মোকাবেলা করেছে(ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বাদ দিয়ে)!! যেখানে রিয়াল মাদ্রিদ ৮৬টি খেলায় জয়লাভ করে এবং বার্সেলোনা জিতে ৮৪টি।। অপর ৪৫টি খেলা ড্র হয়।।

 ►► রিয়াল মাদ্রিদের সর্বমোট ট্রফির সংখ্যা ৭৪টি!! এর মাঝে রয়েছে, ৩১টি লা লিগা শিরোপা,
 ৯টি ইউরোপিয়ান কাপ(চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাক্তন নাম) ১৮টি কোপা ডেল রে শিরোপা, ৮টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ইত্যাদি!!

 ►► অপরদিকে, বার্সেলোনার জেতা সর্বমোট ট্রফির সংখ্যা ৭২টি!! এর মাঝে রয়েছে, ২১টি লা লিগা শিরোপা, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, ২৫টি কোপা ডেল রে শিরোপা, ১০টি স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা!!

 ►► পৃথিবী জুড়ে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এই দুই দলের খেলাটি উপভোগ করে থাকে!!
৫।মানুষের দেহের ২৪ঘন্টার কার্যক্রম
►► হৃদপিন্ড ১,০৩,৬৮৯ বার স্পন্দিত হয়!!
...
 
►► ফুসফুস ২৩,০৪৫ বার শ্বাসপ্রশ্বাসিত করে!!

►► রক্ত ১৬,৮০,০০০ মাইল প্রবাহিত হয়!!

►► নখ ০.০০০০৭ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়!!

►► চুল ০.০৫ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়!!

►► ২.৯ পাউন্ড পানি/তরল গ্রহন করে (সকল প্রকার তরল মিলিয়ে)!!

►► ৩.২৫ পাউন্ড খাদ্য গ্রহন করে!!

►► শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস গ্রহন করে!!

►► ২৪ ঘণ্টায় ছেলেরা গড়পড়তা ২০০০ শব্দ এবং মেয়েরা গড়পড়তা ৫০০০ শব্দ ব্যাবহার করে থাকে!!

►► ঘুমের মধ্যে ২৫-২৬ বার নড়াচড়া করে!!
 

৬।রক্ত নিয়ে জানা অজানা

►► রক্ত তৈরি করা যায় না।। এরমানে, কারো যদি রক্ত লাগে তবে শুধুমাত্র একজন ইচ্ছুক ব্যাক্তিই পারেন ঐ মানুষটিকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করতে।।

►► গবেষণায় দেখা গেছে, জীবিত মানুষদের মধ্যে ২৫% লোকের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে রক্তের প্রয়োজন হয়।।
...
►► আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে এবং আপনার ওজন ৫০ কেজির বেশি হলে আপনি রক্তদান কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারেন।।

►► এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট।।

►► রক্তদানের পর যেটুকু রক্ত আপনি দিন তা পুনরায় আপনার শরীরে তৈরি হতে সময় নেয় মাত্র ২৪-৪৮ ঘণ্টা।।

►► সর্বনিম্ন প্রতি ৫৬ দিন পরপর একজন সুস্থ ব্যাক্তি রক্তদান করতে পারেন।।

"রক্ত দিন, জীবন বাঁচান।।"

৭।বিস্ময়কর ঘটনা 

আজ আপনাদের একজন Real Hero এর সাথে পরিচয় ...করিয়ে দিবো।।

একজন মানুষ যিনি প্রায় ২ মিলিয়ন বাচ্চার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন।।

জেমস হ্যারিসন, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যার রক্তে এমন একটি অ্যান্টিবডি ছিলো যা অ্যানিমিয়া(যেই রোগে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি করতে পারে না) নামক রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারতো।। এই অ্যান্টিবডি ছোট বাচ্চাদের রেসাস ডিজিজ(এই রোগে বাচ্চার রক্ত মায়ের রক্ত থেকে ভিন্ন হয়।। যেমন, মা যদি রেসাস নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের অধিকারী হয়, তবে বাচ্চার রক্তের গ্রুপ হয় রেসাস পসিটিভ।। ফলশ্রুতিতে, মা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মায়ের শরীরের অ্যান্টিবডি বাচ্চার রক্তে হামলা চালায়।।) এই রকম বাচ্চারা সাধারণত মারা যায়।। মারা যাওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারন হলো, ব্রেইন ড্যামেজ।।

হ্যারিসনের প্রায় ৫৬ বছর যাবত রক্ত দিয়ে যাচ্ছিলেন।। যখন তার বয়স ৭৪ বছর হয়, ততদিনে তিনি সর্বমোট ৯৮৪ বার রক্ত দিয়ে দিয়েছেন এমনকি তখনো দিচ্ছেন!! এই সময়ের মধ্যে উনার এই মহৎ উদ্যোগ প্রায় ২ মিলিয়ন বাচ্চার জীবন বাঁচিয়েছে।। যখন হ্যারিসন প্রথম রক্ত দেয়া শুরু করেন, তখন তার রক্ত এতো বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে, তার নামে ১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জীবন বিমা করা হয়।। তার রক্ত পরবর্তীতে অ্যান্টি-ডি নামক একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যাবহার করা হয়।।

জেনে খুশি হবেন, এই অ্যান্টি-ডি ভ্যাকসিন ব্যাবহারের কারনে ১৯৭৭ সাল থেকে রেসাস ডিজিজে বাচ্চাদের মৃত্যুহার প্রায় ৯০% কমে গেছে।।

এই মহান ব্যাক্তির প্রতি রইলো আমার অশেষ শ্রদ্ধা এবং শুভকামনা!!

৮।বিস্ময়কর ঘটনা 

১. প্রথম ছবিতে যেই মসজিদটি দেখছেন তা তুর্কীতে(তুরস্ক) অবস্থিত।। স্মরণকালের ভয়ঙ্কর ভুমিকম্পে যখন আশেপাশের প্রায় সব দালানকোঠা ভেঙ্গে পড়েছে, তখনো মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে স্ব-মহিমায়।। (সুবহানাল্লাহ)

২. দ্বিতীয় ছবিতে যেই মসজিদটি দেখছেন তা ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত।। ভয়ঙ্কর এবং বিধ্বংসী সুনামি এবং ভুমিকম্পের আঘাতে যখন আশেপাশের সব দালান, ঘর, ব্রিজ, রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে,... তখনো আল্লাহর ঘর খ্যাত মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে নিজের পায়ে।। নিশ্চয়ই আল্লাহ নিজেই তার সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণকারী।। (সুবহানাল্লাহ)

১০।অজগর সাপ সম্পর্কে জানা অজানা

►► অজগর সাপ তার শিকারকে ছোবল বা বিষ প্রয়োগে মারে না!! বরং, সেই শিকারকে নিজের শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে জোরে জোরে চাপ দেয়!! এক পর্যায়ে শিকারটি শ্বাস নিতে না পেরে মারা যায়!!

►► অজগর একটি শিকারকে হত্যার পর সেটি পুরোটুকু গিলে ফেলে!! বাদ দেয় না এক কানাকড়ি অংশ!!
...
►► শিকারের আকার যতো বড় হয়, অজগরের পেট সেই খাবার হজম করতে ততো বেশি টাইম নেয়!! মাঝে মাঝে এমনকি একটি শিকার হজম করতে অজগরের কয়েকমাস সময় লেগে যায়!!

►► গভীর বনে যেইসব অজগর পাওয়া যায় এরা মূলত বছরে মাত্র ৪-৫ টি শিকার ধরে থাকে!!

►► অজগর সাপ একসাথে ১২টি - ৩৬টি ডিম পাড়তে পারে!!

►► পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অজগর সাপের সাইজ হলো ৩০ ফিট!! এরা রেটিকুলেটেড অজগর নামে পরিচিত!!

►► অজগর সাপ মানুষের জন্য তেমন বিপদজনক নয়!! আক্রমনের সম্মুখীন না হলে এরা মানুষকে আঘাত করে না!!

১১।পিঁপড়া সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা 

►► পিঁপড়ে হচ্ছে সামাজিক পোকা। দলবল ছাড়া চলতে পারেনা। তাই সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে লাইন ধরে চলে চলাচল করে।

►► রানী পিঁপড়ের পাখা থাকে। কর্মী পিঁপড়া সবসময় কাজ করে। ওদেরও পাখা গজায় তবে সেটা অনেক দেরিতে অর্থাৎ ওদের মৃত্যুর কিছুটা আগে।
...
►► পিঁপড়েদের মধ্যে কোনো রাজা নেই। তবে পিঁপড়ে কলোনিতে বেশ কিছু ছেলে পিঁপড়ে থাকে। ওদের দ্রণ বলে ডাকা হয়। সারা জীবনে খাওয়া ছাড়া ওরা আর কোনো কাজ করে না।

►► পিঁপড়েরা যেখানে বাস করে তাদের পিঁপড়ে কলোনি বলে। একটা কলোনিতে একজন রানী পিঁপড়ে, কয়েকজন ছেলে পিঁপড়ে আর অসংখ্য কর্মী পিঁপড়ে থাকে।

►► কর্মী পিঁপড়েরা রানী আর বাচ্চা পিঁপড়ের দেখাশোনা করে। মাঝ বয়সে ওরা বেরোয় খাবার খুঁজতে। আর শেষ বয়সে ওরা সৈনিকের দায়িত্ব পালন করে। তখন ওরা পিঁপড়ে কলোনির নিরাপত্তা বজায় রাখে।

►► এক কলোনির পিঁপড়েরা অনেক সময় অন্য কলোনি আক্রমণ করে বসে। আক্রমণ করে অন্যদের জমানো খাবার, আর বাচ্চাদের নিয়ে যায়।

►► পিঁপড়েরা তাদের দেহের ওজনের দশগুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে

►► পিঁপড়ের শরীর থেকে ফেরোমোনেস (Pheromones) নামক এক ধরনের গন্ধযুক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। যখন ওরা কোথাও যায় তখন সারা রাস্তায় ওটা লেগে যায়। ফেরার সময় সেই গন্ধ শুকে শুকে কলোনিতে ফিরে আসে।
১২ ।গাড়ি চালানো অবস্থায় হূদেরাগে আক্রান্ত হন চালক সুবল সাহা। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক চেপে ও চোখলিভার টেনে গাড়িটি মহাসড়কের মধ্যেই থামিয়ে দিয়ে ঢলে পড়েন ইঞ্জিন কভারের ওপর। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এভাবেই মৃত্যুর আগমুহূর্তে ফরিদপুরের গাড়িচালক সুবল বাঁচিয়ে গেলেন ৫২টি তাজা প্রাণ। গত রোববার বিকেলে এ ঘ...টনাটি ঘটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বনমালিদিয়া এলাকার শাহ হাবীব মাদ্রাসার সামনে। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা সুবল সাহা শহরের গোয়ালচামট মহল্লার লাহেড়ীপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

ফরিদপুরের বিভিন্ন পথে ৩০ বছর ধরে গাড়ি চালান সুবল সাহা (৫৫)। কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি তাঁর হাতে। গত রোববার মৃত্যুর আগমুহূর্তেও নিজের প্রত্যুৎপন্নমতির জোরে বাঁচিয়ে গেলেন বাসের ৫০ জন যাত্রী, সুপারভাইজার ও হেলপারসহ ৫২টি প্রাণ।

বাসের সুপারভাইজার আবদুল কুদ্দুস জানান, মাগুরা থেকে বেলা তিনটা ৩২ মিনিটে বাসটি চালিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হন সুবল সাহা। বিকেল সাড়ে চারটায় মধুখালীতে এসে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে তিনি আবার বাস চালানো শুরু করেন। আবদুল কুদ্দুস হঠাৎ দেখতে পান মহাসড়কের মাঝখানেই ব্রেক চেপে ও চোখলিভার টেনে গাড়িটি থামিয়ে দিয়েই চালকের আসন থেকে ইঞ্জিন কভারের ওপর ঢলে পড়েন সুবল।

(সুত্রঃ প্রথম আলো)

১৩।ঘুম এবং স্বপ্ন

►► যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন না তাদের ধারণা তারা স্বপ্ন দেখে না। আসলে প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে।

►► ঘুম ভেঙ্গে যাবার ৫ মিনিট পর স্বপ্নের অর্ধেক স্মৃতি লোপ পায়। দশ মিনিট পর স্বপ্নের ৯০ ভাগ লোপ পায়। স্বপ্ন লিখে রাখুন যদি আপনি মনে রাখতে চান।
...
►► কিছু লোক (প্রায় ১২ ভাগ) সাদা কালো স্বপ্ন দেখে যখন অন্যরা (বাকি ৮৮ ভাগ) রঙিন স্বপ্ন দেখে।

►► স্বপ্ন হচ্ছে দৃশ্যমান কোনো বস্তু অপেক্ষা বেশি কিছু এবং অন্ধ লোকও স্বপ্ন দেখে। অন্ধ লোকটি স্বপ্নে ছবি দেখতে পারে কি না তা নির্ভর করে তারা জন্মকালীন অন্ধ বা জন্মের পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কি না তার ওপর।

►► স্বপ্ন চলতে থাকার সময় যদি আপনি জেগে যান তবে আপনি সারা রাত ঘুমালে স্বপ্ন যেটুকু মনে রাখতে পারতেন তা অপেক্ষা বেশি মনে রাখতে পারবেন।

►► জাপানের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক যন্ত্র যা মনের চিন্তাভাবনার চিত্র দেখতে এমনকি স্বপ্নকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে সক্ষম।

স্বপ্ন নিয়ে নতুন কিছু জানতে পারলেন কি??

১৪।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস


►► বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সব বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করে। এ কাজে বাংলাদেশীদের মধ্যে রাজাকার ও আল বদর বাহিনীর লোকেরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করে।

►► শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ১৪ ডিসেম্বর শহী...দ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন।

►► আজ থেকে ৪০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন তারপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।

►► স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। ওরা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন করতে দেশের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের বাসা ও কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

►► ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্য বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়।

►► বর্বর পাক বাহিনী ও রাজাকাররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।

►► সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।

৪০ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার হয় নি।। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সেই ঘাতকরা আজো বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায় এবং এখনো বুদ্ধিজীবীদের হত্যার হুমকি দেয়।।

এ অপশক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিত সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই।। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের চেতনা আমাদের অতীতের ভুলভ্রান্তি ঊর্ধে উঠে স্বাধীনতার পক্ষের সব শক্তিকে একযোগে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করুক।। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষে তাদের শাস্তি বাস্তবে দেখতে চায় মানুষ।। এই বাংলাতেই।। আমার সোনার বাংলাদেশেই।।

আপনাদের কাছে একটাই রিকুয়েস্ট থাকবে, এই ছবিটি এবং লেখাটি শেয়ার করার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন পুরো ফেসবুকে।। সবাই জানুক সেইসব হিংস্র পশু এবং ঘাতকদের ব্যাপারে।। আসুন একত্রিত হই সবাই, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে।।
Share this article :

0 comments :

Contact Form

Name

Email *

Message *

 

About Author

Recent Comments