Some Important Website

বাংলা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট সমুহ

Tuesday, November 15, 2016
Saturday, October 22, 2016

৫৩।ফাইজলামি করস?



আপনি করে ডাকবি।কাছে ঘেষার চেষ্টা
করবিনা কখনো।
কারণ বউছিলো পুরাই কয়লার ড্রাম।কুচকুচে
কালো তার গায়ের রং।বাসরঘরে ঢুকে
বিছানায় তাকিয়ে দেখি যেন ঠিক
একটা কালো কুকুর বসে আছে লাল ঘোমটা
দিয়ে।ঠোঁটে লাল লিপস্টিক,কপালে
ঢ্যামা একটা টিপ।
ওয়াক থু, কি বিচ্ছিরি সাজ।লাল কালোয়
কি এক অগোছালো সাজ।বাতি বন্ধ
করতেই বুঝলাম যেন একটা আধার নিয়ে
শুয়ে আছি।
নেহাৎ যৌনতার দায় সারা হয়েছিল সে
রাতে।
তারপর বিছানা থেকে তুলে
দিয়েছিলাম তাকে।
,
যৌতুক বিরোধী ছিলাম আমরা।তাই
বাবার বক্তব্য ছিলো বিনা যৌতুকে
নিজের আত্মীয়ের কারো মেয়েকে
পুত্রবধু করে আনবেন।
তাইহল।হাজারো অনিচ্ছা স্বত্তেও
বাবার গরিব বন্ধুর কালো মেয়েকে বিয়ে
করতে হল আমায়।
কলেজের সেলফি বয়ের এমন একট বউ
জুটলো, যে জীবনে বউকে নিয়ে আর
সেলফি তোলা যাবেনা।বন্ধুরা অনুরোধ
করত বউ নিয়ে বেড়াতে আসতে।কিন্তু
আমি তাকে নিতামনা।লজ্জা আছে তো
নাকি।
রাতে বাড়ি ফিরতাম দেরি করে।তখনো
সে জেগে থাকত।খাবার বেড়ে দিত।
কথা বলতামনা আমি।কিভাবে
বলি,বারে, ডিস্কোতে সুন্দরী মেয়ে
দেখে বাড়িতে কি অমন আলকাতরা
ভালোলাগে?ওর কি প্রয়োজন সেটা
কোনদিন জিজ্ঞেস করিনি।বাড়িতে
সবার কাপড় কেনাহত,খাবার তো আছেই।
আর কি চাই? এভাবেই কেটে গেল
কয়েকমাস।
,
সেদিন একবন্ধু তার গার্লফ্রেন্ডকে গিফট
দেয়ার জন্য কিছু কিনেছিল।সেটা
আমাকেই পৌছে দিতেহবে।অনেকরাত
ে গিফট বক্স নিয়ে বাড়ি ফিরলাম
আমি।দেখলাম সে সোফায় ঘুমিয়ে
গেছে।ভাবলাম খেয়েছে তো?আমি না
আসা পর্যন্ত আবার ওকে খেতে দেখিনি
কোনদিন।
শুয়ে পরলাম।কিন্তু মনটা বড় খচখচ করছে।
ডেকে তুলে বললাম,খেয়ে তারপর শুবি।
পরদিন সকালে গিফট বক্স খুজে দেখি
ওটা আর আস্তনেই।ও ওটা খুলে ভিতরে যা
ছিল ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে।ওর
খুশি মুখ দেখে কিছু বললামনা।বেচারী।
কালো বলে কি সাজতে নেই?নিজেই
হেসেছিলাম সেদিন।
তারপর নতুন করে গিফট সাজিয়ে পৌছে
দিলাম আমি।
তারপর একদিন ও বমি করলে বুঝলাম ও মা
হতে চলেছে।
,
এক শীতের বিকেলে বাবা মা বেড়াতে
গেলেন গ্রামে।বাসায় রইলাম আমি আর
সে।
সে রাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলাম।
কারণ বাড়ি পুরো একা।গ্রাম্য মেয়ে।
বলা যায়না ভুতের ভয়টয় পায়নাকি।
বাসায় ফিরে শুনলাম রান্না হয়নি।কারণ
জানতে চাইলে ও বলল,ভেবেছিলাম
আপনি বন্ধুদের সাথে খাবেন।দুপুরের কিছু
ভাত ছিল।আমার হয়েযাবে।তাই,,,
ফ্রিজ খুলে দেখলাম।সামান্যই ভাত।
বললাম চল্, কাপড় পরে নে। হোটেলে
খাবি।
ও যেতে চাইলনা।আমিও রেখে যেতে
পারছিনা একা বাড়ি বলে।
অবশেষে দুজনে বাহির হলাম।রাতের শহর
ও যেন হা হয়ে দেখছিল।বললাম হাত
ধর,নাহলে ভীড়ে আবার হারিয়ে যাবি।
সেদিন প্রথম ও আমার সাথে
বেড়িয়েছিলো,প্রথম আমার হাত
ধরেছিল।
মন্দ না।আমিও ওর আঙুল ধরেছিলাম যাতে
ও হারিয়ে না যায়!!
হোটেলে আমাকে আপনি করে
বলবিনা,তুমি করে বলবি আচ্ছা?
মাথা নাড়ল ও।
কিন্তু হোটেলে খাবার সময় ও একবারো
আমায় ডাকেনি।উল্টো আমিই
বলেছিলাম,তুমি আরো কিছু খাবে!!!
,
সেদিন দেখি স্নোর টিউব কেটে স্নো
বাহির করছে।রেগে বললাম,স্নো ফুরিয়ে
গেছে বলতে পারোনা?
সেদিনই সে প্রথম আমার কাছে শ্যাম্পু
চেয়েছিল।
আমি সেদিন ওকে নিয়ে মার্কেটে
গেলাম কসমেটিকস কিনতে।
বন্ধুরা অনেকেই দেখেছিল সেদিন কিন্তু
সবাই ভাবি বলে যথেষ্ঠ রেসপেক্ট
করেছিল।সবাই তিনদিন পর আড্ডাতে
আসার জন্য অনুরোধ করছিলো ওকে।
তিনদিন পর আমিই ওকে
নিয়েগিয়েছিলাম মোটর সাইকেলে।ওর
জীবনের প্রথম লংড্রাইভ আর ড্রাইভার
ছিলাম আমি।আর আমার বউকে নিয়ে
প্রথম।
,
জীবনের প্রথম ওরজন্য আজ খোদার
দরবারে হাত তুলেছি আমি।ও যেন সুস্থ
থাকে।কারণ আজ ও মা হবে।আমি বাবা
হব।
জানিনা কোথাথেকে আজ এতো কান্না
আসছিল আমার।হাসপাতালে ওরকাছে
বারবার ছুটে যাচ্ছিলাম।ও হাতধরে
যতবার বলেছিলো ওর খুব ভয়
করছে,ততবারই বলেছি ভয় পেওনা আমি
আছি।
সেদিন ও কাউকে খুজেনি শুধু আমায়
খুজেছে।আমায় পাশে থাকতে বলেছে
বারবার।
আর আমি,বারবার পর্দার ফাকে বারবার
ওকে দেখলাম।
সিজারে নেওয়া হয়েছিলো ওকে।
সন্তান পেলাম।কিন্তু ওকে পেলামনা।
ওর দেহটা ধরে সেদিন খুব কেঁদেছিলাম।মনে
হচ্ছিলো খুব যেন নিজের কলিজাটা
ছিড়েগেছে।
আজো ওর কবরের পাশে ছুটেযাই।চিৎকার
করেরে বলি,ফিরে এসো তুমি,একটা রাত
তোমারসাথে গল্প করা বাকিছিলো, একটা
সেলফি
তোমায় নিয়ে তোলার ছিল।জানি
ওকে ভালবাসা দিতে পারিনি।কিন্তু
আজ বুঝছি কেন এখনো বুকের বামপাশটা
চিনচিন করে ব্যাথা করে।
.
- সংগ্রহীত
Friday, October 21, 2016

৫২।শরীরচর্চা ছাড়া কয়েক ধরনের সবজি রয়েছে যা খেলে পেটের মেদ ঝরে যায় খুব তাড়াতাড়ি।

শরীরচর্চা ছাড়া কয়েক ধরনের সবজি রয়েছে যা খেলে পেটের মেদ ঝরে যায় খুব তাড়াতাড়ি। জেনে নিন সেই সবজি সম্পর্কে।মরিচ: মরিচে রয়েছে এমন কেমিক্যাল যা পেটের ফ্যাট গলাতে বিশেষ সাহায্য করে।ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামে রয়েছে এমন উপাদান যা মেটাবলিজমের রেটকে বাড়িয়ে দেয়। পেটের চর্বি গলাতে সাহায্য করে।পেঁয়াজ: পেঁয়াজে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। ফলে খাবারে পেঁয়াজ থাকলে তা ফ্যাট বাড়ায় না।শশা: শশা খিদে কমিয়ে দেয়। খিদে পেলে একটা শশা ও খানিকটা জল খেয়ে নিন। খিদে চলে যাবে, একইসঙ্গে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর হয়ে যাবে।সবুজ সবজি: পালংশাক, বাধাকপি, ব্রকোলি ইত্যাদি ফ্য়াট কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর হলে এগুলি অবশ্যই থাকুক খাবার তালিকায়।কুমড়ো: পেটের চর্বি গলাতে চাইলে কুমড়ো খাওয়া অভ্যাস করুন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ অ্যাক্টিভ থাকতে সাহায্য করবে।টম্যোটো: এতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্য়ালশিয়াম। এই দুটি জিনিসই ফ্যাট বাড়তে দেয় না, উপরন্তু কমায়। এছাড়া টম্যাটো ক্য়ানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।শিম: শিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন যা চর্বি গলাতে সাহায্য করে।গাজর: গাজরে রয়েছে বিটা-ক্য়ারোটিন ও ফাইবার যা ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে।- See more at: Click This Link
Monday, September 12, 2016

৫১।যে জঘণ্য কাজটি করলে আপনার ঘরে হতে পারে হিজড়া সন্তান ..

অনেক সময় দেখা যায় হিজড়া সন্তানের জন্ম হয়েছে। এর কি কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে? অর্থাৎ কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? চলুন জেনে নিই,
হিজড়া জন্ম হওয়ার কারণ
:হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)।প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়ঃ দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
একটা ব্যাপার হল, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।

৫০।যে কারণে মশা শুধু আপনাকেই কামড়ায় !

আমাদের আশেপাশে অনেকেই বসে আছে, কিন্তু মশাগুলো কেন শুধু আপনাকে কামড়াচ্ছে । কেন আপনি একাই শুধু ওদের লক্ষ্য আপনাকে রক্তশূন্যকরা! যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যখন বললেন, তখন হয়তো আশপাশের কেউ হেসে বলে উঠল- ‘আরে, আপনার রক্ত মিষ্টি বলেই মশা খাচ্ছে ’কিন্তু জেনে নিন আসল কারণটা কী ?এই বিষয়ে দুবাইয়ের অ্যাস্টার মেডিক্যাল সেন্টারের ফিজিসিয়ান ড. এস রামকুমার জানালেন এর কারণ সম্পর্কে। তিনি জানান, মশার ঘ্রাণশক্তি খুব প্রখর। আর তাই এরা মানুষের গায়ের গন্ধ ভালোভাবে শুঁকতে পারে। তা সে সুগন্ধ হোক অথবা দুর্গন্ধ। গন্ধ শুঁকেই শিকার পছন্দ করে মশা।
‘মশা পশুদের চেয়ে মানুষের গায়ে হুল ফোটাতে বেশি পছন্দ করে। এর কারণ মানুষের জিন ও গায়ের গন্ধ। মানুষের ত্বকে ‘সুলকাটন’ নামে এক ধরনের ক্যামিক্যাল থাকে, যা মশাকে আকর্ষণ করে।’ এ ছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ও অক্টেনল নামের এক ধরনের কেমিক্যালের কারণেও মশার আক্রমণের শিকার হয় মানুষ। রামকুমার জানান, যেসব মানুষ ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়ে, যাদের ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেশি, গর্ভবতী নারী এবং যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তারাই মশাদের পছন্দের তালিকায় থাকে। এ ছাড়া যারা কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করেন, বেশি ঘামেন এবং শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে তাদেরও হুল ফোটাতে পছন্দ করে মশা। তাই বলে যদি ভেবে থাকেন মশা শুধু মানুষকেই কামড়ায়, তাহলে ভুল করবেন।
দুবাইয়ে বন্যপ্রাণী ও চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান গালফ নিউজকে জানান, মশা মানুষ ছাড়াও প্রাণীদেরও কামড়ে থাকে। এই যেমন- ব্যাঙ। বিশেষজ্ঞরা শুধু মশার কামড়ানোর কারণই জানাননি, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায়ও জানিয়েছেন। রামকুমার জানান, মশা যে জায়গায় কামড়িয়েছে তা না চুলকানোই ভালো। কারণ, একবার চুলকালে বারবার চুলকাতে ইচ্ছে করবে। এর ফলে ইনফেকশন হতে পারে।
তিনি জানান, মশার কামড়ানোর জায়গাটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি জায়গাটি খুব চুলকায় ও ব্যথা করে তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েডস ও অ্যানালজেসিক সমৃদ্ধ কোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। তিনি আরো জানান, মশার কামড়ের ফলে অনেক সময় জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের র‌্যাশও উঠতে পারে। তবে কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানকার মশাবাহিত রোগগুলোও জেনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়এখন এমন একটা আবহাওয়া, কখনও বৃষ্টি কখনও গরম। এই সময়টা গরমের প্রভাব অতিরিক্ত হয়ে থাকে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি বিরক্তিকর উপদ্রব বাড়তে থাকে। এই বিরক্তিকর উপদ্রব হচ্ছে মশা। অতিরিক্ত গরম আর মশার যন্ত্রণার কারণে মশারির ভেতরে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
মশার স্প্রে, মশার কয়েল কোন কিছুতেই যেন কাজ হয় না। যদি এই দুটার একটাও শেষ হয়ে যায় তাহলে তোহ রক্ষা নাই। আপনার রাতের ঘুম হারাম। কিন্তু আপনি কি জানেন খুব সহজে এই মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আগেকার যুগে মশার কয়েল, স্প্রে তো কিছুই ছিল না। তখনকার মানুষ কিভাবে মশার হাত থেকে রক্ষা পেত? অবাক হলেও এটা সত্যি যে তারা প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়াত। ভাবচ্ছেন কিভাবে সম্ভব? তাহলে আজ জানাবো আপনাদের প্রাকৃতিক উপায়ে মশার হাত থেকে মুক্তি পাবার উপায়।
লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহারঃএকটি গোটা লেবু খণ্ড করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেক গুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরা গুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।
কর্পূরের ব্যবহারঃমশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোন ফার্মেসিতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন। আগের পানিটুকু ফেলে দিবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।
রসুনের স্প্রেঃরসুনের স্প্রে মশা তাড়াতে খুবই কার্যকারী প্রাকৃতিক উপায়। ৫ ভাগ পানিতে ১ ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে শরীরের যেসব স্থানে মশারা কামড়াতে পারে সেসব স্থানে স্প্রে করুন। এতে করে যে কোন ধরণের রক্ত চোষারা আপনার ধারে কাছেও আসবেনা।
নিমের তেলের ব্যবহারঃনিমের মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না এবং সেই সাথে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।
পুদিনার ব্যবহারঃজার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয় পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।
জানেন কি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করবে মশা !যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এক ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) মশা উদ্ভাবন করেছেনঃ যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। মূলত, বিশেষ এক ধরনের মশার কামড়ে মানবদেহে ম্যালেরিয়া ছড়ায়। এই ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রতিরোধ করতে উদ্ভাবিত এই মশাই কার্যকর মাধ্যম হতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এই মশার উদ্ভাবন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা যেসব মশা মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া ছড়ায়, তাদের ডিএনএর মধ্যে এক ধরনের নতুন ‘প্রতিরোধমূলক’ জিন প্রবেশ করান।
তারা আশা করছেন, জিএম মশা অন্যর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মিলিত হয়ে মশার জন্ম দিলে সেগুলোও ম্যালেরিয়া সংক্রমণ মুক্ত হতে পারে। আর এসব মশার কামড়ে মানুষের দেহে সংক্রমন প্রবেশ করবে না।
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বে ৩.২ বিলিয়ন মানুষ (প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা) ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে রয়েছে। মশারি, কীটনাশক, রেপেলেন্ট ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী মশার কামড় রোধে সাহায্য করে। সংক্রমণে আক্রান্তদের ওষুধও দেওয়া যেতে পারে। তারপরও প্রতিবছর এ রোগে বিশ্বে ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে নতুন উপায় খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মনে করেন, তাদের জিএম মশা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণূ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা ভারতের ‘অ্যানোফেলিস স্টেফেনসি’ নামক এক ধরনের মশার উপর গবেষণা চালাচ্ছেন

৪৯।ভয়ঙ্কর এইডস ভাইরাস ঠেকানোর ওষুধ আবিস্কার করলো বাঙ্গালী বিজ্ঞানী অনিতা।

ডসের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যে গত দু’-তিন দশক ধরে গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তার একটাই কারণ। ভাইরাস ‘এইচআইভি-পজিটিভ’ রাক্ষসের মতো বাড়ে অনেক সংখ্যায়। অত্যন্ত দ্রুত হারে, নিমেষের মধ্যেই। ডেঙ্গি, ফ্লু’র (ইনফ্লুয়েঞ্জা) চেয়ে এডস ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’ অনেক বেশি বলেই এটা হয়। যার জন্য এত দিন এই মারণ ব্যাধিকে রোখার পথ খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের।
অন্ধকারে এ বার কিছুটা হলেও, আলোর দেখা মিলেছে! মার্চের শেষে বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ বেরিয়েছে একটি সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র। যার শিরোনাম- ‘এইচআইভি-ওয়ান ব্রডলি নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি প্রিকার্সার বি সেল্‌স রিভিলড বাই জার্মলাইন-টার্গেটিং ইমিউনোজেন’। ক্যালিফোর্নিয়ার ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্ট উইলিয়াম শিফের নেতৃত্বে ওই গবেষক দলে যে একমাত্র ভারতীয় রয়েছেন, তিনি বাঙালি। অনিতা সরকার।
কলকাতায় জন্ম অনিতার। স্কুলজীবনের বেশির ভাগটাই থাকতেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি ক্যাম্পাসে। পরে সেখান থেকে চলে যান মহেশতলায়। সেন্ট পল্‌স আর সেন্ট টেরেসা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জুলজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দিল্লিরই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োইনফর্মেটিক্সে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ শেষ করে পিএইচডি করেন ফ্রান্সের গ্রেনোবল থেকে। অনিতার প্রথম পোস্ট ডক্টরাল থিসিসটির কাজ চলছে এখন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।
স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চলছে এডস সংক্রান্ত গবেষণার কাজ।
সহযোগী গবেষক ক্যালিফোর্নিয়ার লা হোয়ায় ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার বলছেন, ‘‘শরীরে ভাইরাসের মতো শত্রুরা হামলা চালালে, তাদের রুখতে প্রাকৃতিক ভাবেই, শরীরে কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। বিশেষ বিশেষ ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য বিশেষ বিশেষ অ্যান্টিবডি। যেমন, তরোয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঢাল বা বর্ম লাগে। আর, বুলেট-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে লাগে বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট। প্রতিরোধের ধরনটা মোটামুটি একই রকম হলেও তার হাতিয়ারটা হয় আলাদা আলাদা।’’
স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার।অনিতার কথায়, ‘‘গত ৩০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, খুব অল্প সংখ্যক এইচআইভি-পজিটিভে আক্রান্ত মানুষ এমন বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারেন। এমন অ্যান্টিবডির সংখ্যা ও ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের দ্রুত পরিবর্তনের ক্ষমতাই এইচআইভি ভাইরাসকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেবে না। গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এইচআইভি-পজিটিভ ভাইরাস রোখার জন্য়েও আমাদের শরীরে গড়ে ওঠে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিবডি।গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এমন একটা টিকা বানাতে যা দেহে ওই অ্যান্টিবডি তৈরি করে রাখে। যার ফলে, সুস্থ মানুষের শরীর ওই মারাত্মক ভাইরাসের হানাদারিকে রুখতে পারে।’’
যাকে দিয়ে বানানো হচ্ছে এডস ভাইরাসের টিকা।
এডস এখন বিশ্বে মহামারী হয়ে উঠেছে। এর কোনও প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের এডস প্রতিরোধ সংস্থার (ইউএনএডস) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৩ সালের শেষে বিশ্বে সাড়ে তিন কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এডসে। তার মধ্যে শুধু ভারতেই এডস-আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাটা বছর তিনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছে ২১ লক্ষে। ওই এডস রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটা অংশের দেহে এডস ভাইরাসের দ্রুত বংশ-বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ঠেকানোর অ্যান্টিবডি, প্রাকৃতিক ভাবেই গড়ে তুলতে পারে।
অণুবীক্ষণের তলায় এডস ভাইরাস।যে ভাবে এডস ভাইরাস ঠেকানোর প্রক্রিয়াকে জোরদার করা হচ্ছে।অনিতা বলছেন, ‘‘গবেষকরা চেষ্টা করছেন, যাঁদের এডস হয়নি, তাঁদের শরীরে ওই প্রতিরোধ ব্যবস্থাটাকে কৃত্রিম ভাবে, জোরদার করে তুলতে। আমরা কম্পিউটেশনাল ডিজাইন আর স্ট্রাকচারাল বায়োলজির মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাসের একটি প্রোটিনের একটি অংশ বানিয়েছি।
যেটা আমাদের ‘জার্মলাইন’ ( যেগুলি আমাদের শরীরে জন্মের সময় থেকেই থাকে) অ্যান্টিবডিগুলিকে শনাক্ত করে। আর সেগুলিকে এইচআইভি প্রতিরোধ করার মতো করে গড়ে তুলতে পারে। তার ফলে, ওই ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য এ বার আমরা আগেভাগেই তৈরি থাকতে পারব।’’
কিন্তু, আমাদের শরীরে কি ওই ‘জার্মলাইন অ্যান্টিবডি’গুলি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে?
অনিতা বলছেন, ‘‘আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি, সাধারণ, সুস্থ-সবল মানুষের শরীরে এই জার্মলাইন অ্যান্টিবডিগুলো থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণেই। ওই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আর আ্যান্টিবডিগুলির গঠন দেখে আমরা নিশ্চিত, সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি-র হানাদারি রোখার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের এই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আগামী দিনে এইচআইভি রোখার জন্য টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তার সম্ভাবনা যথেষ্টই।’’
এডসের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যে গত দু’-তিন দশক ধরে গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তার একটাই কারণ। ভাইরাস ‘এইচআইভি-পজিটিভ’ রাক্ষসের মতো বাড়ে অনেক সংখ্যায়। অত্যন্ত দ্রুত হারে, নিমেষের মধ্যেই। ডেঙ্গি, ফ্লু’র (ইনফ্লুয়েঞ্জা) চেয়ে এডস ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’ অনেক বেশি বলেই এটা হয়। যার জন্য এত দিন এই মারণ ব্যাধিকে রোখার পথ খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের।
অন্ধকারে এ বার কিছুটা হলেও, আলোর দেখা মিলেছে! মার্চের শেষে বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ বেরিয়েছে একটি সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র। যার শিরোনাম- ‘এইচআইভি-ওয়ান ব্রডলি নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি প্রিকার্সার বি সেল্‌স রিভিলড বাই জার্মলাইন-টার্গেটিং ইমিউনোজেন’।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্ট উইলিয়াম শিফের নেতৃত্বে ওই গবেষক দলে যে একমাত্র ভারতীয় রয়েছেন, তিনি বাঙালি। অনিতা সরকার। কলকাতায় জন্ম অনিতার। স্কুলজীবনের বেশির ভাগটাই থাকতেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি ক্যাম্পাসে। পরে সেখান থেকে চলে যান মহেশতলায়।
সেন্ট পল্‌স আর সেন্ট টেরেসা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জুলজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দিল্লিরই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োইনফর্মেটিক্সে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ শেষ করে পিএইচডি করেন ফ্রান্সের গ্রেনোবল থেকে। অনিতার প্রথম পোস্ট ডক্টরাল থিসিসটির কাজ চলছে এখন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।
স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চলছে এডস সংক্রান্ত গবেষণার কাজ।
সহযোগী গবেষক ক্যালিফোর্নিয়ার লা হোয়ায় ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার বলছেন, ‘‘শরীরে ভাইরাসের মতো শত্রুরা হামলা চালালে, তাদের রুখতে প্রাকৃতিক ভাবেই, শরীরে কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। বিশেষ বিশেষ ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য বিশেষ বিশেষ অ্যান্টিবডি। যেমন, তরোয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঢাল বা বর্ম লাগে। আর, বুলেট-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে লাগে বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট। প্রতিরোধের ধরনটা মোটামুটি একই রকম হলেও তার হাতিয়ারটা হয় আলাদা আলাদা।’’
স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার।
অনিতার কথায়, ‘‘গত ৩০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, খুব অল্প সংখ্যক এইচআইভি-পজিটিভে আক্রান্ত মানুষ এমন বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারেন। এমন অ্যান্টিবডির সংখ্যা ও ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের দ্রুত পরিবর্তনের ক্ষমতাই এইচআইভি ভাইরাসকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেবে না। গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এইচআইভি-পজিটিভ ভাইরাস রোখার জন্য়েও আমাদের শরীরে গড়ে ওঠে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিবডি।গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এমন একটা টিকা বানাতে যা দেহে ওই অ্যান্টিবডি তৈরি করে রাখে। যার ফলে, সুস্থ মানুষের শরীর ওই মারাত্মক ভাইরাসের হানাদারিকে রুখতে পারে।’’
যাকে দিয়ে বানানো হচ্ছে এডস ভাইরাসের টিকা।
এডস এখন বিশ্বে মহামারী হয়ে উঠেছে। এর কোনও প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের এডস প্রতিরোধ সংস্থার (ইউএনএডস) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৩ সালের শেষে বিশ্বে সাড়ে তিন কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এডসে। তার মধ্যে শুধু ভারতেই এডস-আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাটা বছর তিনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছে ২১ লক্ষে। ওই এডস রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটা অংশের দেহে এডস ভাইরাসের দ্রুত বংশ-বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ঠেকানোর অ্যান্টিবডি, প্রাকৃতিক ভাবেই গড়ে তুলতে পারে।
অণুবীক্ষণের তলায় এডস ভাইরাস।
যে ভাবে এডস ভাইরাস ঠেকানোর প্রক্রিয়াকে জোরদার করা হচ্ছে।
অনিতা বলছেন, ‘‘গবেষকরা চেষ্টা করছেন, যাঁদের এডস হয়নি, তাঁদের শরীরে ওই প্রতিরোধ ব্যবস্থাটাকে কৃত্রিম ভাবে, জোরদার করে তুলতে। আমরা কম্পিউটেশনাল ডিজাইন আর স্ট্রাকচারাল বায়োলজির মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাসের একটি প্রোটিনের একটি অংশ বানিয়েছি। যেটা আমাদের ‘জার্মলাইন’ ( যেগুলি আমাদের শরীরে জন্মের সময় থেকেই থাকে) অ্যান্টিবডিগুলিকে শনাক্ত করে। আর সেগুলিকে এইচআইভি প্রতিরোধ করার মতো করে গড়ে তুলতে পারে। তার ফলে, ওই ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য এ বার আমরা আগেভাগেই তৈরি থাকতে পারব।’’
কিন্তু, আমাদের শরীরে কি ওই ‘জার্মলাইন অ্যান্টিবডি’গুলি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে?
অনিতা বলছেন, ‘‘আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি, সাধারণ, সুস্থ-সবল মানুষের শরীরে এই জার্মলাইন অ্যান্টিবডিগুলো থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণেই। ওই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আর আ্যান্টিবডিগুলির গঠন দেখে আমরা নিশ্চিত, সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি-র হানাদারি রোখার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের এই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আগামী দিনে এইচআইভি রোখার জন্য টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তার সম্ভাবনা যথেষ্টই।’’

৪৮।আপনি কি খুব বেশি ঘামেন, তাহলে জেনে নিন মুক্তির ৫ উপায়?

বর্তমানে চলছে আইপিএল-এর নবম আসর তবে এরই মঝে যেন গরমও চালিয়ে
তার তীব্রাতার খেলা। বলে বলে চার, ছক্কা হাকাচ্ছেন। কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে যেন গরম পরছে মাত্রাতিরিক্ত। একে গরম তার উপরে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ছে। সকলেরই ঘাম হয়। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে বেশি ঘাম হতে দেখা যায়। এর ফলে শরীর থেকে লবন পানি কমতে থাকে। আর তা থেকে মুক্তির পাওয়ার উপায় খোঁজেন অনেকে। এই ঘাম থেকে মুক্তির ৫টি উপায় দেয়া হলো। হয়তো আপনার কাজে লাগতে পারে। ১। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই গরমে নিয়মিত আঙুর খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। বেশি ঘামের থেকে রেহাই পেতে পারেন। ২। আলু অনেকটাই ঘাম ঝরা কমিয়ে দেয়। শরীরের যেসব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেখানে পাতলা পাতলা করে আলুর টুকরো রাখুন বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে। শুকিয়ে গেলে তবেই জামাকাপড় পরুন। ৩। নারকেল তেলের মধ্যে কিছুটা কাপূর মিশিয়ে গোসলের পরে গায়ে মাখিয়ে রাখুন। ঘাম বেশি হওয়া জায়গায় লাগাবেন। ঘণ্টা খানেক পরে ধুয়ে নিন। ৪। টমেটোর জুস খেলেও অনেক সময়ে ঘাম কমে। এক গ্লাস টমোটোর জুস খেয়ে দেখতে পারেন। বেশি ঘাম থেকে মুক্তি পাবেন। শরীরও তরতাজা থাকবে। ৫। লেবু থাকুক সঙ্গে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেখানে লেবুর রস লাগাতে পারেন। এতে ঘাম যেমন কমে তেমন ঘামের দুর্গন্ধও দূর হয়। তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে, ঘাম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় খুব বেশি ঘাম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। নানা রকম অসুখের কারণেও ঘাম হতে পারে।

৪৭।লিভার সুস্থ রাখতে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।

মানবদেহের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার। এই একটি অঙ্গ অনেকগুলো শারীরিক কাজ করে থাকে যেমন মেটাবলিজম, হজমশক্তি বৃদ্ধি, বিষাক্ত পর্দাথ দূর করা ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সমস্যা শুরুর দিকে এর চিকিৎসা করা না হলে
লিভার ফেইলিয়ারের মত ঘটনা ঘটতে পারে।লিভার ফেইলিয়ার আস্তে আস্তে শুরু হয়ে থাকে। আপনার কিছু কাজ দ্বারা এটি আরও মারাত্নক আকার ধারণ করে থাকে। লিভার সুস্থ রাখতে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
* অতিরিক্ত মদ্যপানঅ্যালকোহল লিভার ইনফ্লামেশন, ফ্যাটি লিভার, এমনকি লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ। লিভার খাবারের ভেঙে শক্তিতে রূপান্তর করে থাকে। লিভার যখন অ্যালকোহল ভাঙ্গার চেষ্টা করে তখন এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে সকল নিয়মিত মদ্যপান করে থাকে সাধারণত তারা বেশি লিভারের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
* স্থূলতাঅতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা লিভার সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। লিভারে চারপাশে চর্বি জমে লিভার ফেইলিয়ারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে দেয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক রোগী লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
* ডায়াবেটিসএক গবেষণায় প্রকাশ করা হয় ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০% লিভার ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। যা লিভার ড্যামেজের অন্যতম কারণ হয়ে থাকে।
* অতিরিক্ত ওষুধ সেবনঅতিরিক্ত ওষুধ সেবন মারাত্নক ক্ষতি করে থাকে লিভারের। বর্তমান সময়ে অনেকে ডাক্তার পেইনকিলার খেতে নিষেধ করে থাকে। পেইন কিলার, অবসাদ কমানোর ওষুধ, মুড ঠিক করার ওষুধ ইত্যাদি লিভারের ক্ষতি করে থাকে।
* লবণ বেশি খাওয়াঅতিরিক্ত লবণ এবং লবণ জাতীয় খাবার রক্তচাপ বৃদ্ধি করে থাকে। এটি লিভারে পানি বৃদ্ধি করে লিভারে ক্ষতি করে থাকে। বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আজই ত্যাগ করুন।
* ধূমপানধূমপান সরাসরি লিভারের ক্ষতি করে না থাকলেও পরোক্ষভাবে এটি লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সিগারেটের ক্ষতিকর উপাদান লিভারের পৌঁছানোর পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করে যা লিভারের কোষে প্রভাব ফেলে থাকে।
* সাপ্লিমেনিটরিগবেষণায় দেখা গেছে পুষ্টি অথবা ডায়েটেরি সাপ্লিমেনটরি লিভারে কিছু এনজাইম তৈরি করে থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের কারণে অনেক সময় লিভার ড্যামেজ হতে পারে

৪৬।যে ফোন হ্যাক করা যাবে না!

এই ফোন হ্যাক করা যাবে না, এটা ভাঙবে না এবংপানি এর কিচ্ছু করতে পারবে না!- এমনটাই দাবি টুরিং ফোনের নির্মাতাদের। এ বছরের জুলাইয়ে এই ফোনের ঘোষণা দেন নির্মাতারা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফোনগুলো বাজারে ছাড়া হবে। এ খবর জানিয়েছে এনগেজেট।বিওল্ফ, ফারাওহ এবং কার্ডিনাল এই তিনটি রংয়ে পাওয়া যাবে টুরিং ফোন । ফোনগুলোতে রয়েছে ১৬ জিবি, ৬৪ জিবি এবং ১২৮ জিবি মেমোরির আলাদা সংস্করণ। দাম পড়বে ৬১০ থেকে ৮৭০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক টুরিং রোবোটিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরি করেছে এই ফোন। এই ফোনগুলোতে কোনো ইউএসবি পোর্ট এবং হেডফোন জ্যাক নেই।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ফোন হ্যাক করা যাবে না। কারণ এই ফোনে থাকা সব অ্যাপ্লিকেশন ইন্ড টু ইন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এটা ভাঙা যাবে না কারণ এটি বানানো হয়েছে ‘লিকুয়িডমরফিয়াম’ নামের এক বস্তু দিয়ে, যা স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিকুয়িডমরফিয়াম আগামী দিনের স্মার্টফোনের বডি বানানোর প্রযুক্তি পাল্টে দেবে। স্মার্টফোনটিতে পানি ঢুকতে পারবেনা কারণ এর ভেতরে রয়েছে ন্যানো-কোটিং। ফোনটির ভেতরে কোনো রাবার ব্যবহার করা হয়নি এবং এটি পুরোপুরি খুলে ফেলা যাবে।
টুরিং ফোন চলবে ৫.১ ললিপপ অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে। এতে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি স্ক্রিন (১০৮০x১৯২০ পিক্সেল)। ২.৫ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮০১ এসওসি প্রসেসর। রয়েছে ৩ জিবি র‍্যাম, ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশের ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। রয়েছে তিন হাজার এমএএইচের নন রিমুভাল ব্যাটারি।
কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে ফোরজি এলটিই, ওয়াই-ফাই ৮০২.১১এসি, ব্লুটুথ ৪.০ এলই। রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, অ্যাকসেলোরোমিটার, জিরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, প্রক্সিমিটি, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট, টেম্পারেচার এবং হিউমিডিটি।লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।

৪৫।সফটওয়্যার ছাড়াই পেনড্রাইভ লক করার গোপন পদ্ধতি !

ফাইল আদানপ্রদানে পেনড্রাইভের জুড়ি নেই। অনেক সময় এর মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় ফাইল শেয়ার করা হয়। কিন্তু পেনড্রাইভে লক করা নিয়ে পড়তে হয় ঝামেলায়। বিশেষ করে, পাসওয়ার্ড দেয়ার জন্য সফটওয়্যার নির্বাচন নিয়ে খেই হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অথচ, পেনড্রাইভ লক করার কাজটা সফটওয়্যার ছাড়াও করা যায়!সফটওয়্যার ছাড়া কিভাবে পেনড্রাইভে পাসওয়ার্ড দেয়া যায় তাই তুলে ধরা হলো এই টিউটোরিয়ালে-
প্রথমে মাই কম্পিউটারে ঢুকে পেনড্রাইভের উপর কার্সর নিয়ে রাইট বাটনে ক্লিক করুন। এবার ক্লিক করুন Turn on BitLocker লেখা অংশে।
এরপর Use a Password to unlock the drive অংশে টিক চিহ্ন বসিয়ে Type your Password এবং Retype your Password লেখা ঘরে পাসওয়ার্ড দিয়ে Next লেখা অংশে ক্লিক করুন।
এবার Save the Recovery key to a file লেখা অংশে ক্লিক করে ফাইলটি সেইভ করুন। এরপর Use Encrypting বাটনে ক্লিক করে ১০০ শতাংশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার কম্পিউটার থেকে প্রেনড্রাইভটি খুলে আবার ঢুকালে দেখাবে পেনড্রাইভটি লক হয়েছে।লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।

৪৪।আপনার সিম' বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে কিনা।

আপনার সিম' বায়োমেট্রিক নিবন্ধনহয়েছে কিনা, দেখতে ,,,,,।। GP গ্রাহকরা, - SMS করুণ reg send to 4949Airtel- *121*444#Robi- *1600*1#Banglalink- *1600*1#টেলিটক Q লিখে 1600..সাথে সাথে জানতে পারবেন আপনার SIM টি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কিনা...। পোস্টটি শেয়ার করে অন্নকেও জানার সুযোগ করে দিন

৪৩।গনিতের শর্টকাট টেকনিক

★বর্গের সর্বমোট ৪টি সুত্র আছে।★---------------------------------------বর্গের অন্তর বা প্রার্থক্যদেওয়া থাকলে, বড় সংখ্যাটিনির্ণয়ের ক্ষেত্রে-# 1_টেকনিকঃবড় সংখ্যা=(বর্গেরঅন্তর+1)÷2# প্রশ্নঃঃদুইটি ক্রমিক সংখ্যারবর্গের অন্তর যদি 47 হয় তবে বড়সংখ্যাটি কত?# সমাধানঃ বড় সংখ্যা=(47+1)/2=24======================সুত্রঃ-2)দুইটি বর্গের অন্তর বাপ্রার্থক্য দেওয়া থাকলে,ছোটসংখ্যাটি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে-# 2_টেকনিকঃছোট সংখ্যাটি=(বর্গের অন্তর -1)÷2# প্রশ্নঃদুইটি ক্রমিক সংখ্যারবর্গের অন্তর 33। ক্ষুদ্রতমসংখ্যাটি কত হবে?# সমাধানঃছোট সংখ্যাটি=(33-1)÷2=16(উঃ)=====================সুত্রঃ-3)যত বড....তত ছোট/ ততছোট....যত বড উল্লেখ থাকলেসংখ্যা নির্নয়ের ক্ষেত্রে-# 3_টেকনিকঃসংখ্যাটি =(প্রদত্তসংখ্যা দুটির যোগফল)÷2# প্রশ্নঃএকটি সংখ্যা 742 থেকেযত বড় 830 থেকে তত ছোট। সংখ্যাটিকত?# সমাধানঃসংখ্যাটি =(742+830)÷2=786(উঃ)======================সুত্রঃ-4)দুইটি সংখ্যার গুনফলএবং একটি সংখ্যা দেওয়া থাকলেঅপর সংখ্যাটি নির্নয়েরক্ষেত্রে-# 4_টেকনিকঃসংখ্যা দুটিরগুনফল÷একটি সংখ্যা# প্রশ্নঃ2টি সংখ্যার গুনফল 2304একটি সংখ্যা 96 হলে অপরসংখ্যাটি কত?# সমাধানঃঅপর সংখ্যাটি=(2304÷96)=24(উঃ)পরিমাপের ৫টি টাকনিক(উদাহরনসহ)আলোচনাঃসুত্রঃ5- দৈর্ঘ্যর বৃদ্ধির হারপ্রস্থের হ্রাসের চেয়ে বেশীহলে-# 5_টেকনিক ::::::ক্ষেত্রফল বৃদ্ধির হার=[{(100+বৃদ্ধির হার)×(100-হ্রাসের হার)÷100}-100]প্রশ্নঃএকটি আয়তক্ষেত্রেরদৈর্ঘ্য 20% বাড়ালে এবং প্রস্থ10% কমালে ক্ষেত্রফল শতকরা কতবৃদ্ধি পাবে?# সমাধানঃ=[{(100 + বৃদ্ধির হার)×(100 -হ্রাসেরহার)÷100} -100]={(100+20)×(100-10)÷100} -100={(120×90)÷100}-100=(10800÷100) - 100=108-100=8% বাড়বে(উঃ)=====================সুত্রঃ6-দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হারপ্রস্থের হ্রাসের সমান বা কম হলে-# 6_টেকনিক ::::::ক্ষেত্রফল হ্রাস=100 - {(100+বৃদ্ধির হার)×(100-হ্রাসের হার) ÷100}প্রশ্নঃএকটি আয়তক্ষেত্রেরদৈর্ঘ্য 20% বাড়ালে এবং প্রস্থ20% কমালে তার আয়তন কত?# সমাধানঃ100 - {(100+20)×(100-20)÷100}=100-{(120×80)÷100}=100-(960÷100)=100-96=4% কমবে(উঃ)========================সুত্রঃ7-যখন শুধু বৃদ্ধির হারেরকথা উল্লেখ থাকে-*ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি={(100+বৃদ্ধিরহার)÷100}²-100প্রশ্নঃএকটি বৃত্তেরব্যাসার্ধ্য শতকরা 50% বৃদ্ধিকরলে বৃত্তের ক্ষেত্রফল শতকরাকত বৃদ্ধি পাবে?# সমাধানঃ={(100+50)/100}²-100={(150)²/(100)²}-100={(15)²/(10)²}-100={225/100}-100=225-100=125%(উঃ)======================সুত্রঃ5-আয়তকার ক্ষেত্রেরদৈর্ঘ্য প্রস্থের যতগুন এবংক্ষেত্রফল দেয়া থাকলে-( দৈর্ঘ্য/প্রস্থ/পরিসীমা ) বেরকরতে-# দৈর্ঘ্য =√(ক্ষেত্রফল×দৈর্ঘ্যপ্রস্থের যতগুন)# প্রস্থ =√ (ক্ষেত্রফল/দৈর্ঘ্যপ্রস্থের যতগুন)# পরিসীমা=2(দৈর্ঘ্য+প্রস্থ)প্রশ্নঃএকটি আয়তকার ঘরেরদৈর্ঘ্য বিস্তারের দ্বিগুন।এরক্ষেত্রফল 512 বর্গমিটার হলে,পরিসীমা কত?# সমাধানঃদৈর্ঘ্য=√ক্ষেত্রফল×দৈর্ঘ্যপ্রস্থের যতগুন=√(512×2)=32প্রস্থ =√ ক্ষেত্রফল×দৈর্ঘ্যপ্রস্থের যতগুন=√(512÷2)=16পরিসীমা=2(দৈর্ঘ্য+প্রস্থ)=2×(32+16)=2×48=96(উঃ)নিয়মিত পোস্ট পেতে Like দিন।আর পোষ্টি হাতের নাগালে পেতে share করেনিজের টাইমলাইনে রাখুন যেকোন সময় পড়ারজন্য।

৪২।জেন নিন জন্ডিস কি-এর লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ।

জন্ডিস একটি কমন ও জটিল রোগ। শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা
বেড়ে গেলেই আমরা জন্ডিসে আক্রান্ত হই। বিলিরুবিন এমন একটা পদার্থ, যা আমাদের শরীরে রক্তচলাচল ব্যবস্থাতে প্রভাব ফেলে, ক্ষতিগ্রস্ত করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে আমাদের চোখ এবং ত্বক স্বাভাবিক রং হারিয়ে ক্রমশ হলুদ হয়ে যায়। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো সময়ে জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি সদ্যোজাতরাও এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে প্রি-ম্যাচিওর শিশুরা। কীভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনি বা আপনার প্রিয়জন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন? জেনে নিন জন্ডিসের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং কীভাবে প্রতিরোধ করবেন-জন্ডিস সাধারণত তিন ধরনের:* প্রি হেপাটিক জন্ডিস: এই ধরনের জন্ডিস প্রধানত লিভারে আঘাত বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যা থেকে হয়।
* হেপাটোসেলুলার জন্ডিস: শরীরে হেমোলিসিসের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা থেকে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এর ফলেই এই ধরনের জন্ডিস দেখা দেয়।
* পোস্ট হেপাটিক জন্ডিস বা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস।
জন্ডিসের লক্ষণ:* ঘন হলুদ রঙের প্রস্রাব।
* ফ্যাকাশে রঙের মলত্যাগ।
* তলপেটে ব্যথা।
* অস্বাভাবিকরকমের ওজন কমে যাওয়া।
* জ্বর।
* বমি।
* ক্লান্তি।
এগুলি জন্ডিসের সাধারণ লক্ষণ। এরই সঙ্গে ত্বক এবং চোখ হলুদ হয়ে যায়। কখনো কখনো জন্ডিসের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেলে চোখ ব্রাউন বা কমলা রঙেরও হয়ে যেতে পারে। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার। মাথায় রাখতে হবে, জন্ডিস অবহেলা করলে তা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
কিভাবে জন্ডিস প্রতিরোধ করবেনঃ* সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
* তাজা এবং গরম খাবার খান।
* ফিল্টার করা ফোটানো পানি পান করুন।
* হেপাটাইটিস এবং অন্যান্য ভ্যাকসিন নিয়মিত নিন।
* নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করান।

৪১।চলুন একবার দেখে আসি গ্রিনিচ বুক অব রেকর্ডসএ বাংলাদেশ।

চলুন একবার দেখে আসি গ্রিনিচ বুক অব রেকর্ডসএ বাংলাদেশ।

১) বাংলাদেশ
পৃথিবীর সবচেয়ে বড়
ব'দ্বীপ।

২) সবচেয়ে বড় শিল
পড়েছিলো ২.২পাউন্ড
ওজনের,
গোপালগন্জে ১৪
এপ্রিল ১৯৮৬
সালে। এই ঝড়ে ৯২ জন
মারা যায়।
৩) সবচেয়ে বড় মানববন্ধন
১১ ডিসেম্বর ২০০৪
সালে। ৫০ লাখ লোক
নিয়ে আওয়ামী লীগ
৬৫২ মাইল লম্বা এ মানব
বন্ধন
করেছিলো টেকনাফ
থেকে তেতুলিয়া পর্যন্
৪) বগুড়ার মোহাম্মদ রজব
আলী। উনার
নাতি নাতনীর
সংখ্যা ৫ শতাধিক। ১১৫
বছর
বয়সে তিনি মারা যান
। গ্রিনেস বুকে তার
নাম সুপার গ্রান্ড
ফাদার
হিসেবে উল্লেখ
করা আছে।
৫) জোবেরা রহমান
লীনু জাতীয় টেবিল
টেনিস
চ্যাম্পিয়নশিপে ১৬
বার
জিতে সবচেয়ে বেশিব
চ্যাম্পিয়ন
হিসেবে নাম
লিখিয়েছেন গ্রিনেস
বুকে!
৬) সবচেয়ে কম
বয়সী বিবাহিত
দম্পতি। ১৯৮৬
সালে আমিনপুর,
পাবনাতে দু
পরিবারের দ্বন্দ
মেটাতে ১১ মাসের
এক ছেলের সাথে ৩
মাসের এক মেয়ের
বিয়ে দেয়া হয়!
৭) প্যারেড
গ্রাউন্ডে সৃষ্টি হলো ম
রেকর্ড; অংশ নিল ২৭
হাজার ১১৭ জন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড়
মানব
পতাকা তৈরি করে গি
বুকে নাম
লেখালো বাংলাদেশ
৮) ১৬ ডিসেম্বর
বাংলাদেশের ৪৩তম
বিজয় দিবসে ৩ লাখের
বেশি বাঙালি এক
সময়ে একসঙ্গে গাইলেন
তাদের প্রাণের
জাতীয় সংগীত। আরও
একটি বিশ্ব রেকর্ড
গড়লো বাংলাদেশ।
,
মনে না থাকলে সেয়ার করে রাখতে পারেন
Wednesday, August 31, 2016

৪০।এবার, আপনার Block sim (ব্লক সিম) নিজেই উদ্ধার করুন?

কখনো কখনো আমাদের অজানতেই আমাদের Sim card (সিম কার্ড) টি ব্লক করে ফেলি তাই যারা ব্লক সিমটি খুলতে পারছেন না? তারা নিচের পদ্ধতিটা ফলো করুন?করনীয়ঃ(Password) চায় কোন সমস্যা নেই, আপনি নিজেই আপনার Sim card টি Block remove korte পারবেন??প্রথমেঃ*2767*2878# ডায়াল করেন আপনার ফোনটি ( Restart ) হবে, এবার,ফোনটি চালু হওয়ার সাথে সাথে ( Password ) চাইবে আপনি যেকোনো 4 (চারটি) সংখা দেবেন ।যতবার চাবে আপনি ঐ একই সংখা দেবেন ।এবার ( Password ) চাইলে যেকোন 4 (চারটি) সংখা দেবেন ।।যদি ঐ কোডটি দিয়ে কাজ না করে তাহলে*2767*3855# এই কোডটি দিয়ে ট্রাই করুন ।।»»বিদ্রতঃ««সব Sim(সিম) এ নাও হতে পারে ।

৩৯।কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন ? আসুন দেখাই কিভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক করবেন।

কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন ? আসুন দেখাই কিভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক করবেন।
কম্পিউটার পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে হ্যাক করুন খুব সহজেই।
ধাপ সমূহঃ
১। কম্পিউটার স্টার্ট করুন
২। কম্পিউটার এর login স্ক্রীন আসবে।
৩। এক সাথে কীবোর্ড এর ctr+alt+delete এইটা চাপ দিলে একটা নতুন উইন্ডো শো করবে ।
৪। এখানে একটা USER BOX আরেকটা PASSWORD BOX দেখা যাবে।
৫। এখানে আপনি লিখবেন USER BOX এ administrator এবং PASSWORD BOX টা খালি রাখবেন।
৬। এবার OK দিন।
৭। এখন User Accout এইখানে আপনি সকল user দের দেখবেন এখন আপনি চাইলেই user এর password remove করতে পারবেন! দয়া করে কারো ক্ষতির জন্য এটি করবেন না।

৩৮।Youtube এ চ্যানেল তৈরী করে ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন।

প্রথমেই একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করুন নামটাই খুব
গুরুত্বপূর্ন। তাই প্রথমেই এমন একটি নাম চিন্তা করুন
যা এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি। নামটি আপনি যে
কোন বিষয়ের উপর নিতে পারেন, সেটা হতে পারে রান্না
বিষয়ক, গেমস নিয়ে, বই নিয়ে বা যে কোন বিষয়। কিন্তু
সাবধান একবার যদি আপনি আপনার চ্যানেলের নাম ঠিক
করে ফেলেন তাহলে তা আর কখনো পরিবর্তন করতে
পারবেন না। দরকার হলে অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করুন,
ভাবুন তারপর ঠিক করুন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের
নাম। তবে নামটি অবশ্যই এমন একটি নাম দিবেন যাতে
আপনার চ্যানেলের নাম খুব সহজে মনে রাখা যায়। ভুল
করেও কখনো সংখ্যা দিয়ে নাম ব্যাবহার করবেন না। এই
সাইটে গিয়ে আপনি চেক করে নিতে পারেন আপনি কোন
নামটি দিবেন। সাইটটির এই ঠিকানায় গিয়ে চেক করে
নিতে পারেন আপনার নামটি ঠিক আছে কিনা?
একটি ইমেইল নিবার্চন করুন আপনার চ্যানেল এর
আমরা সবাই জানি ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে একটি
ইমেইল লাগবে। আর এজন্য অবশ্যই আপনাকে জিমেইল
ব্যবহার করতে হবে। তাই প্রথমেই একটি নতুন জিমেইল
একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্টটি অবশ্যই ভেরিভাই
করে নিতে হবে। আর মনে রাখবেন ২ ধাপ এর
ভেরিফিকেশন দিয়ে রাখবেন আপনার একাউন্টে। তাহলে
আপনি ছাড়া আর কেউ এই একাউন্টে প্রবেশ করতে
পারবে না।
কপিরাইট এড়িয়ে চলুন
আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে
ফেলেছেন তখন আপনি ইউটিউব এর পার্টনার। আর
পার্টনার থাকা অবস্থাতেই এমন কোন ভিডিও
আপলোড করবেন না, যাতে কপিরাইট থাকে। যেমন
অন্যের গান এর মিউজিক নকল করে আপনার ভিডিওতে
ব্যবহার, অন্য কোন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান। আপনি
আপনার ভিডিওতে ইউটিউবের নিজস্ব কিছু গানের
টপিক থেকে গান নির্বাচন করে ব্যবহার করতে পারেন।
কখনোই নকল করবেন না, কারণ ইউটিউব জানে আপনি
কোথা থেকে কি ব্যবহার করেছন। সুতরাং সাবধান।
এরপরও যদি আপনি এরকম কোন ভিডিও আপলোড
করেন, তারা আপনাকে কয়েকবার সাবধান করে দিবে,
আপনার কপিরাইট ভিডিও আপলোড এর সংখ্যা যদি
বেশি হয় তাহলে আপনার একাউন্টটি তারা ব্যান করে
দিবে। আমি আপনাদেরকে সাজেশন দিতে পারি এই
http://www.youtube.com/watch?v=S521VcjhvM
অভিডিওটি দেখার জন্য এখান থেকে আপনি জানতে
পারবেন ইউটিউবে কি করা উচিত কি করা উচিত নয়।
ভিডিও এডিটর
ভিডিও এডিট করার জন ̈ অবশ্যই ভালো কোন
সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ফ্রি তে অনেক ভিডিও
এডিট করার সফটওয়্যার পাবেন, কিন্তু আমি বিশেষভাবে
ব্যবহার করেত বলবো Adobe Premiere । এই
সফটওয়্যারটি আপনি ম্যাক ও উইন্ডোজ দুটোতেই
ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অবশ্যই যে সফটওয়্যার
ব্যবহার করেন না কেন তা কিনে ব্যবহার করুন। আর
ভিডিও এডিটিং করা অনেক সহজ একটি কাজ যদি
আপনি অনেকটা ধৈর্য ধরে এই কাজটি শিখতে পারেন।
এছাড়াও আরো যে যে এডিটিং সফটওয়্যার আছে সে
গুলোও ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আপনার মোবাইল
কিংবা ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে যা ভিডিও করেছেন, তা
প্রথমে এডিট করে নিন, এরপর আপলোড করুন
ইউটিউবে।
ইনট্রো নির্বাচন করুন
আপনি আপনার চ্যানেলের জন্য সুন্দর একটি ইনট্রো
নির্বাচন করুন। মনে রাখবেন এই ইনট্রোর উপর নির্ভর
করবে আপনার অনেক কিছু। আপনার হাতে অনেক সময়
আছে, আস্তে ধীরে তৈরি করুন আপনার ইনট্রো।
ইনট্রোর সময় বেঁধে দেয়া আছে ১০ সেকেন্ড। এই ১০
সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে আপনার চ্যানেলের একটি
সুন্দর ইনট্রো বানাতে হবে। আপনার চ্যানেলের একটি
লোগো বানিয়ে নিন, এরপর ̧গুগুল প্লাস থেকে অনেক
টেমপ্লেট পাবেন ইনট্রো বানানোর জন্য একটি
টেমপ্লেট নির্বাচন করে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
দিয়ে লোগো সহ ১০ সেকেন্ড এর একটি ইনট্রো
বানিয়ে ফেলুন। আপনি ভিডিও তৈরি করার যে কোর
সফটওয়্যার দিয়ে এই ইনট্রো বানাতে পারেন, তবে মনে
রাখবেন আপনার ইনট্রোটি যেন ভিডিও ফরমেট এর হয়।
এরপর থেকে আপনি যে ভিডিও আপলোড করেন না
কেন, সেটা শুরু হবার আগে এই ইনট্রোটি দেখা যাবে।
ইনট্রো তৈরী করার পর তা আপনি আপলোড করেবন
আপনার চ্যানেলের ইন ভিডিও প্রোগ্রাম এর ভিতরে-
ইন ভিডিও প্রোগধাম পাবেন আপনার চ্যানেলের
ড্যাশবোর্ড এর চ্যানেলে সেটিংস এর ভিতর। এখানে
যাবার পর এরকম কয়েকটি ছবি দেখতে পাবেন, তারমধ্যে
Add a branding intro এখানে আপনার তৈরি ইনট্রোটি
আপ করবেন।
অডিও এডিটিং এর টিপস এন্ড ট্রিক্স
অডিও এডিটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ আপনার ভিডিওটির
জন্য। আর অডিও এডিটিং এর উপর নির্ভর করে
ইউটিউব আপনার ভিডিওটি মনটানাইজেশন করতে দিবে
কি দিবে না। আমি আপনাদেরকে কিছু টিপস বলে দিব
সেগুলো যদি ঠিকমতো মেনে চলেন তাহলে আশা করি
আপনি একটি ভালো রেজাল্ট পাবেন ইউটিউব এর কাছ
থেকে।
ক. প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার তৈরি করা
অডিও ফাইলে কোন ধরনের ব ̈কগ্রাউন্ড নয়েজ নেই।
ভয়েজ রেকর্ডিং – এ অনেক সময় এসি বা ফ্যান এর
শব্দ শোনা যায়, চেষ্টা করবেন এই জাতীয় নয়েজ
এড়িয়ে যেতে।
খ. একটি ভালো ভিডিও একটি খারাপ অডিও এর কারণে
নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন ভালো অডিও
দিতে। দরকার হলে নিজেই অডিও বানিয়ে নিন। অন্যের
অডিও কখনোই ব্যবহার করবেন না। অডিও বানানোর
জন্য অনলাইনে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায় সে গুলো
ব্যবহার করতে পারেন।
গ. আপনার অডিওটি আপনি নিজেই কয়েকবার শুনুন,
আপনার কাছে ভালো লাগলে এরপর আপনার ভিডিওর
সাথে যোগ করুন।
চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি কাভার ফটো
বানান
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো হন, তাহলে
আপনার চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি
কাভার ফটো বানিয়ে ফেলুন। কাভার এবং লোগো
বানানো জন্য ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করতে
পারেন।
>>>>>টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ
টাইটেল
টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ হচ্ছে একটি ভিডিওর
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ভিডিও যত ভালোই
হোক না কেন, এই তিনটি ছাড়া এর কোন মূল্য নেই।
কয়েক হাজার ভিডিও এর মধ্য থেকে মানুষ আপনার
ভিডিও তখনই দেখবে যখন আপনার ভিডিওতে এই
তিনটির সমন্বয় থাকবে। শুরুতেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে
আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করুন। আর আপনার টাইটেল
তৈরি করার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। চলুন
দেখি কি কি উপায়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়।
ক. কিওয়ার্ড রিসার্চ
পদ্ধতি-১
ইউটিউবে সার্চ দিতে পারেন আপনার কাঙ্খিত ভিডিওর
সাথে মিল রেখে। যেমনঃ ধরুন আপনার ভিডিওটি যদি হয়
মানি মেকিং নিয়ে তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিন- how to
make money online এবার দেখুন কি কি রেজাল্ট
দেখায়, এখান থেকেই বেচে নিতে পারেন আপনার
টাইটেল টি অথবা নিজেই এই সমস্ত টাইটেল থেকে
আপনারটা বানিয়ে নিতে পারেন।
পদ্ধতি- ২
আর একটু নিশ্চিত হতে ব্যবহার করেতে পারেন নিচের
লি্কংটি। https://adwords.google.com/
KeywordPlanner এই লিংকে গিয়ে আপনার কাঙ্খিত
কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিন।
পদ্ধতি- ৩
আপনি যে টাইটেল দিতে চাচ্ছেন তা ইউটিউবে লিখে
সার্চ দিন, এবং দেখুন একদম প্রথমে কোনটি আছে।
সেটার কাছাকাছি একটি টাইটেল তৈরি করতে পারেন। শুধু
টাইটেল নয়, আপনি ভালো করে দেখে নিন সেই
ভিডিওতে কি কি ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে, আর
বর্ণনাতে কি লেখা আছে। আপনি চাইলে সে ̧লোও
আপনার ভিডিওতে ব ̈বহার করতে পারেন, তবে সেটা
নিজের মতো করে বানিয়ে নিবেন।
খ. বর্ণনা
বর্ণনা এমনভাবে দিবেন যেন আপনার বর্ণনার ভেতর
অবশ্যই টাইটেল এবং ট্যাগ এর উপস্থাপনা থাকে।
বর্ণনা করার সময় অবশ্যই আপনার চ্যানেলের লিংক
দিতে ভুলবেন না। আপনার বর্ণনার ভেতর আপনার
চ্যানেলের লিংক প্রতিস্থাপন করুন। বর্ণনা যত বড়
করবেন আপনার জন্য ততই ভালো। আপনার ভিডিও তে
আরো যোগ করুন ফেসবুক ফ্যান পেজ, টুইটার একাউন্ট
সহ আরো যে সমস্ত সোস্যাল নেটওর্য়াকিং সাইটে
আপনি যুক্ত আছেন সেগুলো।
গ. ট্যাগ
এবার আপনার ভিডিও অনেকটাই তৈরি পাবলিশ করার
জন্য। শুধুমাত্র শেষ এই ধাপটি পুরণ করলেই কাজ শেষ।
কম হলেও ১০টি থেকে ২০ টি ট্যাগ করুন আপনার
ভিডিওটির এবং চেষ্টা করবেন ট্যাগগুলো যেন আপনার
ভিডিও রিলেটেড হয়। চলুন আমরা এতক্ষণ যা পড়লাম
তার একটি উদাহরণ দেখে আসি
TITLE
GAME TITLE Walkthrough – LEVEL NAME
DESCRIPTION
GAME TITLE Walkthrough – LEVEL NAME (notice
the title is repeated in the first line of the
description) describe the content of the video
repeating important keywords such as the game
title, level name and featured game characters.
Subscribe for more GAME TITLE videos:
Youtube link
Check out GAME TITLE Walkthrough Part 2
PLAYLIST LINK
“Like” me on Facebook
FACEBOOK LINK
Follow me on Twitter
TWITTER LINK
Tags
“game title walkthrough” “game title gameplay”
game title “game title” “character name”
“name of level” “video game” game videogame
games gaming PS3 sony playstation
৫. ভিডিও তৈরি করুন
এতক্ষণতো আমার কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড
করবেন, আপলোড করার নিয়মগুলো জানলাম। এবার
চলুন যে ভিডিওটি আপনি আপ করবেন তা তৈরি করি।
ক্যামেরা এবং লাইটিং
আমরা অনেকেই ক্যামেরা এবং লাইটিং এর ব্যবহার
সর্ম্পকে ভালোভাবে জানি না। ক্যামেরা এবং লাইটিং
এর উপরে সল্প সময়ে একটি কোর্স করে নিতে পারি
আমরা। এটি পরবর্তী জীবনে আপনার অনেক কাজে
দিবে। ভালো একটি ভিডিও তৈরি করার পিছনে অনেক
সাধনা করতে হয়। আর লাইটিং সমন্ধে যদি আপনার
ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি ভালো একটি ভিডিও
বানাতে পারবেন। তাই ভালো একটি ভিডিও তৈরি করতে
আপনাকে অবশ্যই এই বিষয় গুলো মাথায় রাখতে
এনকোডিং
ভিডিওটি যখন বানাবেন তখন খেয়াল রাখবেন এর
এনকোডিং এর দিকে। সঠিকভাবে এনকোডিং নির্বাচন
না করলে আপনার ভিডিওটি ইউটিউবে লাইভ নাও হতে
পারে। আর একটি ব ̈পার এনকোডিং যদি ঠিকমতো করতে
না পারেন, তাহলে আপনার ভিডিওর রেজুলেশন এতটাই
কমে যাবে যার কারণে আপনার ভিডিও আপলোড করার
অনুপোযোগী হয়ে যাবে।
আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ান
প্রতিদিন সময় করে ইউটিউবের অন্য যে ভিডিও গুলো
কয়েক লাখ ভিজিটর আছে সে গুলোতে কমেন্ট করুন।
কমেন্ট টি অবশ্যই এমনভাবে করুন যাতে লেখা থাকবে
আপনি তার চ্যানেল subscribe করবেন তার বদলে সে
আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব করবে। আপনি যে
ভিডিও গুলো আপলোড করবেন, সে বর্ণনাতে অবশ্যই
আপনার অন্য ভিডিওর লিংক যোগ করবেন। এছাড়া
আপনার ভিউয়ার কে সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ
করবেন। সম্ভব হলে মজাদার জোকস বলে আপনার
ভিউয়ার কে সাবস্ক্রাইব করতে বলতে পারেন। অনেকেই
মনে করেন চ্যানেলে অনেক গুলো ভিডিও থাকলে অনেক
বেশি সাবস্ক্রাইব পাওয়া যায়। এটি একটি ভুল ধারনা।
আপনি যদি কয়েক শো ভিডিও আপ করেন যে ̧লো কোন
কাজেরই না, তাহলে আপনি কোনদিনও সাবস্ক্রাইব
পাবেন না, বরং সাবস্ক্রাইব হারাবেন। কারণ কেউই চায়
না অন্যের ভিডিও দিয়ে তার ইউটিউব একাউন্ট ভরে
থাক। ভিডিও আপলোড করার জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন
বেচে নিন এবং নির্দিষ্ট একটি সময়। কারণ আপনার যারা
সাবস্ক্রাইব তারা ওই দিনটি মাথায় রাখবে, এবং নির্দিষ্ট
ওই সময়েই আপনার চ্যানেলে ঢুকবে আপনার ভিডিওটি
দেখার জন্য। আপনি যখনই সিডিউল মেইনটেনন করে
আপনার ভিডিও আপলোড করবেন, তখন আপনার
ভিডিওটি ইফটিউব তার সার্চ রেজাল্টে এক নাম্বারে
নিয়ে আসবে। তবে একটি জিনিষ মাথায় রাখবেন যাই
আপলোড করেন না কেন, তা যেন সকলের উপকারে
আসে। আপনার ভিডিও যখন কারো উপকারে আসবে,
তখন আপনি আপনার ভিডিও থেকে উপকৃত হবেন। মানে
আপনার ভিডিও থেকে তখন টাকা আসা শুরু হবে। আর
একটি কাজ করতে পারেন আপনার চ ̈ানেলের
সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য। সেটা হলো অন্যান্য
ইউটিউব চ্যানেলে থিয়েটরদের সাথে যোগাযোগ করে
তাদের বলতে পারেন, যে আপনার ভিডিওর মধ্যে আপনি
তাদের চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বক্স বসাবেন, বিনিময়ে
তারা তাদের ভিডিওর মধ্যে আপনার চ্যানেলের
সাবস্ক্রাইব বক্স বসাবে। এতে দু পক্ষই লাভবান হবেন।
আপনাদের সাথে এখন একটি গোপন ফরমুলা নিয়ে কথা
বলবো, যে ফরমুলা ব্যবহার করলে অতি সহজে আপনি
আপনার চ ̈ানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়াতে পারেন। আমি
নিজেই এই ফরমুলা ব্যবহার করি। ধরুন আপনার
চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব ১৫০ জন। এখন আপনার
চ্যানেলের ভিডিওর সাথে মিলে যায় এরকম আর একটি
চ্যানেল খুজে বের করুন যার সাবস্ক্রাইব ২৫০ থেকে
৩০০ জনের মত। তাকে একটি ম্যাসেজ পাঠান যে আপনি
একটি ভিডিও তৈরি করেছেন যাতে বলা আছে এই
চ ̈ানেলটি কি কি কারণে অনেক ভালো। এবং এই
চ ̈ানেলটি সাবস্ক্রাইব করলে আপনি আরো ভালো
ভালো ভিডিও পেতে পারেন। আপনি এখন চাচ্ছেন তার
চ্যানেলে এবং আপনার চ্যানেলে এই ভিডিওটি
আপলোড করতে। আপনি আপনার চ্যানেলে যখন এই
ভিডিওটি আপলোড করবেন তখন লিংক হিসেবে ওই
চ্যানেলের লিংক ব্যবহার করবেন, এবং ওই চ্যানেলের
মালিক আপনার লিংক ব্যবহার করবে। এতে করে আপনি
মিনিমাম একটি চ্যানেলে থেকে ১০০ থেকে ২০০ এর মত
সাবস্ক্রাইব পেতে পারেন। তাহলে আপনার এখন মোট
সাবস্ক্রাইব দাড়ালো ২৫০ জনে। এবার আপনি খুজবেন
৩০০ থেকে ৫০০ সাবস্ক্রাইব চ্যানেল। এখানেও একই
কাজ করবেন। এভাবে আপনার সাবস্ক্রাইব যত বাড়বে
আপনি তার চেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইব ওয়ালা চ্যানেল
খুজবেন। এভাবে বাড়তে বাড়তে বাড়তে একদিন নিশ্চয়ই
আপনার সাবস্ক্রাইব কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
আপনার চ্যানেলের বন্ধু বাড়ান
আপনার চ্যানেলের পেজে যত বন্ধুর আমন্ত্রণ আসবে
সব গ্রহন করুন। তাদের সথে ১⁄২ ম্যাসেজ আদান
প্রদান করুন। তাদের সঙ্গে ১⁄২ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ
করুন যাতে তারা আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে।
আপনিও তাদের যদি চ্যানেল থাকে সেখানে সাবস্ক্রাইব
করুন। এতে করে আপনার এবং তার দুজনেরই উপকার
হবে, দুজনেরই চ ̈ানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়বে।
অন্যের চ্যানেলের ভিডিওতে
আপনার চ্যানেলের ভিডিও এর ভিউয়ার বাড়ানোর জন্য
অন্যের চ্যানেল গুলোর ভিডিওতে কমেন্ট করুন।
অবশ্যই কমেন্ট করার সময় আপনার চ্যানেলের লিংকটি
দিয়ে সেখানে সাবস্ক্রাইব করতে বলতে ভুলবেন না।
কারন যত বেশি কমেন্ট করবেন তত আপনার চ্যানেল
বাড়বে সঙ্গে ১⁄২ বাড়বে আপনার চ্যানেলের ভিডিওর
ভিউয়ার।
ভিডিও এমবেড কোড
আপনার যদি অনেক টুইটার ফলোয়ার থাকে, কিংবা অনেক
ফেসবুক ফ্রেন্ড থাকে সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের
জন্য অনেক ভালো। যদি আপনার ৫০ জন ফেসবুক
ফ্রেন্ড থাকে তাহলেও আপনার জন্য শুভ সংবাদ। কারণ
এরাই আপনার রিয়েল ফ্রেন্ড। ভুয়া ফ্রেন্ড দিয়ে কোন
লাভ নাই। আপনি আপনার টুইটার আর ফেসবুকে আপনার
ভিডিওটি শেয়ার করুন, তারপর আপনি এই ৫০ জন
ফ্রেন্ডকেই বলেন সারাদিনে কয়েক সেকেন্ড বের করতে
আপনার জন্য। তারা আপনার ভিডিওটি ৩০ সেকেন্ডের
জন্য হলেও দেখবে, একটি করে লাইক দিবে, যদি সম্ভব
হয় তাহলে একটি করে কমেন্ট করবে। প্রতিদিন আপনিও
তাদের জন্য নতুন নতুন ভিডিও নিয়ে আসবেন। এভাবে
আপনার ভিডিও রিলেটেড ফেসবুকে যে গ্রুপ গুলো
রয়েছে সেগুলোতে জয়েন করুন। সেখানে আপনার
ভিডিওটি শেয়ার করুন। এভাবেই দিনে অন্তত ১০ জন
করে ফেসবুক আপনি আপনার একাউন্টে যোগ করুন।
যকন আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড এর সংখ্যা ৫,০০০
হাজার ছাড়িয়ে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের একটি
ভিডিও লিংক এর ভিউয়ার সংখ্যাও বাড়বে। যেখানে
আগে প্রতিদিন আপনার ভিডিও এর ভিউ হতো ২০০,
সেখানে আপনার ভিউয়ের সংখ্যা বেড়ে দাড়াবে ১০০০
এরও বেশি।একই কাজ আপনি আপনার টুইটার একাউন্টে
করতে পারেন। পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল সোস্যাল
সাইট গুলো রয়েছে সেখানেও আপনি আপনার ভিডিওটি
শেয়ার করতে পারেন। এয়াড়া আপনার যদি নিজস্ব কোন
ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সেখানেও ভিডিওটি
এমবেড করে বসাতে পারেন। এখান থেকেও আপনি
ভালো ভিউয়ার পাবেন।
এনোটেশন হচ্ছে আপনার ভিডিওটির ওপর আপনার
অন্য এনোটেশনটি ভিডিও এর লিংক দেয়া। আপনার
চলতি ভিডিওটি দেখতে দেখতে আপনার যে কোন
ভিউয়ার যেন আপনার অন্য ভিডিও গুলো সর্ম্পকে
জানতে পারে, সেজন্য আপনার প্রতিটি ভিডিওতে
এনোটেশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। যখন কোন
ভিউয়ার আপনার ভিডিওটি দেখবে তখন আপনি যে
লিংকটি এনোটেশন করে দিয়েছেন সে যদি সেই লিংক এ
ক্লিক করে তাহলে নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে এবং
সে তখন ওই ভিডিওটি দেখতে পাবে। আপনার ভিডিওটি
আপলোড হওয়ার পর ভিডিও ম্যানেজারে গেলেই পাবেন
এই অপশন গুলো। সেখান থেকে অহহড়ঃধঃরড়হং বাটনে
ক্লিক করলেই পৌছে যাবেন এনোটেশন করার পেজে।
এরপর আপনি এখান থেকে অহহড়ঃধঃরড়হং যোগ করতে
পারবেন।
গোপন কিছু টিপস
আপনার চ্যানেলের জন্য সময় অতন্ত গুরত্বপূর্ণ।
একটি ডাইরিতে নোট করে রাখুন, প্রতিদিন কোন সময়টি
আপনি আপনার ভিডিও ̧লো আপলোড করবেন। ভিডিও
কখনো রাত ৩ টায় আপলোড করবেন না। যদি সম্ভব হয়
ভিডিও সকালের দিকে আপলোড করুন। টার্গেট
অডিয়েন্স সব সময় ১৮+ চিন্তা করবেন। আর একটি
জিনিষ মাথায় রাখবেন আপনার ভিডিও এর বর্ণনাতে
যদি সম্ভব হয় এর তৈরির তারিখটি বসাবেন। রবিবার
ইউটিউবে ভিউয়ার বেশি হয়, আপনি চাইলে এই দিনটিকে
মাথায় রেখে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
চেষ্টা করবেন সবার আগে দেওয়ার
আপনার চ্যানেলকে পপুলার করতে চাইলে সব সময়
চেষ্টা করবেন সবার আগে আপনার তৈরি করা ভিডিটি
দিতে। যদি আপনি তা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই
আপনার ভিডিওটি ইউটিউব তার সার্চ রেজাল্টে সবার
আগে দেখাবে।
ভালো ছবি নির্বাচন করুন
আপনার আপলোড করতে ভিডিওটি আপনার ভিউয়ারকে
আকর্ষণ করার জন্য ভালো একটি ছবি নির্বাচন করুন।
আপনার ভিডিওটির কাভার ফটোটি যদি আকর্ষণীয় না
হয় তাহলে দর্শক আকৃষ্ট করতে পারবে না, আর দর্শক
আকৃষ্ট না হলে আপনার চ্যানেলে ভিউয়ার বাড়বে না।
তাই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব আর ভিউয়ার বাড়াতে
চাইলে ভালো ছবি নির্বাচণ করুন। আমি বিশ্বাস করি
আপনার যদি এই কাজ ̧লো ধাপে ধাপে করতে পারেন,
তাহলে আপনার চ্যানেলের সফলতা অবশ্যই আসবে।
মনে রাথবেন কোন কিছুই শেখার উর্দ্ধে নয়, তাই যত
পারেন শিখতে থাকুন, একদিন আপনিও হয়তো ইউটিউব
নিয়ে আমার মতো কিছু লিখে ফেলবেন। আর আনন্দ
নিয়ে কাজ করুন ইউটিউবে। আপনি যদি শুধূ টাকা ইনকাম
করার জন্য ইউটিউবে আসতে চান তাহলে এতক্ষন ধরে
যা যা পড়লেন তা ভুলে যান। কারণ আপনি যে কাজ করে
আনন্দ পাবেন না সে কাজে অন্য কে কিভাবে আনন্দ
দিবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা ধৈর্য… ধৈর্য… এবং
ধৈর্য। সবাই ভাল থাকবেন। আশা করি পরবর্তী কোন
লেখা নিয়ে হাজির হব। সবাই কমেন্টস করবেন।

Contact Form

Name

Email *

Message *

 

About Author

Recent Comments