Some Important Website

বাংলা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট সমুহ

Saturday, June 1, 2019

টিকটক এপ কি ?সেরা ১০ উপায়ে টিকটক থেকে আয় করুন |অনলাইন থেকে আয় ২০১৯

TikTok একটি এন্ড্রয়েড app , যা সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিয়ো শেয়রিং এপ । এটি এমন একটি এপ যেখানে আপনি ছোট ছোট ফানি টিক টক ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে সেই ভিডিও গুলি অন্য লোকেদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। কিছুটা, ইউটিউবের মতোই কিন্তু আবার ইউটিউবের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। TikTok এপ্লিকেশন ব্যবহার করে একজন ৫ থেকে ১৫ সেকেন্ড বা ৫ থেকে ৬০ সেকেন্ড এর ভেতরের শর্ট ভিডিও (কমেডি,ভিডিও গান ,অভিনয় ইত্যাদি) বানিয়ে প্রচার বা শেয়ার করতে পারবেন।


আপনি যদি ভিডিও না বানাতেও চান তাহলেও সমস্যা নেই। TikTok এ Vine এর মতো আগের থেকে বানানো ফানি ভিডিও, কমেডি ভিডিও, entertainment videos দেখেই আপনার সময় কেটে যাবে । ফেসবুক ,Youtube এর মতো ভিডিয়ো শেয়রিং এপ। Tiktok app এর মাধ্যমে লোকেরা নিজের ভিতরের আর্টিস্ট (artist) বা মনের ভাব বিভিন্ন রকমের ভিডিওর মাধ্যমে লোকেদের সাথে শেয়ার করেন। তবে তাদের ভিতর কিছু কার্টুনিষ্টও পাওয়া যায় যা আপনাকে বেপক বিনোদন দিবে ।


আপনি TikTok এর অনেক ভালো ভালো features ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ভিডিও বানাতে পারবেন সহজেই । এখানে বিশেষভাবে, entertainment videosfunny videocomedy video এবং এক্টিং ভিডিও (acting video)বানিয়ে লোকেরা আপলোড করে থাকে ।


টিকটকে লোকেরা ভিডিও বানিয়ে বানিয়ে নিজেকে অনেক বিখ্যাত (famous) বানিয়ে নিচ্ছেন । যেমন : AVNEET KAUR , MANJUL KHATTAR ইত্যাদি। কিছুদিন আগে Manjul Khattar এর একটি ভিডিও গান ও রিলিজ হয়েছিল। আজ অনেক টিক টক আর্টিস্ট (artist) রয়েছেন যাদের অনেকেই চিনে। তাই, নিজেকে ভিডিওর মাধ্যমে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় বানানোর tiktok অনেক ভালো মাধ্যম।


এখন আসি আসল কথায় , টিকটকে ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন আপনি । জি , এইটাই সত্যি এবং অনেক Tiktok user রাই ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করছেন। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে আপনার হতে হবে অনেক ক্রিয়েটিভ (creative) তথা সৃজনশীল । একইরকম ভিডিও কতই বা দেখবে মানুষ ।


টিকটক (tiktok app) এর ইতিহাস ও অর্জন :


অক্টোবর ২০১৮ সালে U.S এর সবথেকে বেশি ডাউনলোড হওয়া app হিসেবে tiktok কে দেখা গেছে। TikTok app সবচেয়ে আগে ২০১৬ সালে চীন (china) দেশে সেপ্টেম্বর মাসে launch হয়েছিল । কিন্তু তখন তার নাম “douying” হিসেবে রাখা হয়েছিল। তারপর ১ বছর পর tiktok নাম দিয়ে মার্কেটে এই app প্রচার করা হলো।TikTok সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত, প্রচলিত এবং সেরা short video platform হিসেবে আজ মার্কেটে দাঁড়িয়ে রয়েছে।


টিকটক থেকে টাকা আয় করার উপায় :


ইন্টারনেটে সার্চ করে বা লোকমুখে আমরা শুনেছি যে টিকটকে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এটি সত্যি, যে টিকটক থেকে আয় করা যায় । উপায় :


উপায় ১ : TikTok এ ব্রান্ডিং করে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ২ : TikTok ফলোয়ারদের ইকমার্স সাইটে জেনারেট করে ইনকাম করতে পারেন । কৌশলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন ।


উপায় ৩ : TikTok এ পেইড প্রমোশন করে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ৪ : TikTok এ নিজস্ব কাপড়ের ব্রান্ডিং করে ইনকাম করতে পারেন । নিজস্ব ইকামর্স সাইট


উপায় ৫ : TikTok এর ফলোয়ারদের ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার বানান । পেইড ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার থেকে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ৬ : TikTok এ ব্রান্ডিং করে Youtube Channel এ Subcriber সেল করে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ৭ : TikTok এ ব্রান্ডিং করে নিজস্ব Youtube channel এর ভিউ ও Subscriber বাড়িয়ে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ৮ : TikTok এ স্পন্সরশিপের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ৯ : TikTok থেকে ব্লগ/ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাঠিয়ে ইনকাম করতে পারেন ।


উপায় ১০ : TikTok একাউন্ট সেল করে ইনকাম করতে পারেন ।
My Tik Tok username :   @akir_hossain60


Thursday, May 23, 2019

Boro eka eka lage amar

https://youtu.be/ZwUvTPZ2w9I

Friday, May 17, 2019

অনেক সুন্দর গল্প

আমাদের পাড়ার মতিনের বৌ প্রচণ্ড অসুখী। অহর্নিশি সে সুখের পেছনে ছোটে। সুখের খোঁজে। সুখের আশায়। ফুল; সৌন্দর্য বিলায়, গন্ধ দান করে, মৌমাছি তা থেকে মধু আহরণ করে। এসব তার কাছে বিষয় নয়। সে ফুলের মত সুন্দর হতে চায়। পাখি; গান গায়, মানুষের মনে আনন্দ দান করে, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে, নিসর্গের ছবি হয়ে উঠে। তাতে তার কিছু এসে যায় না। সে ময়না বা টিয়ের মত দেখতে সুন্দর হতে চায়, মুক্ত আকাশে উড়তে চায়। সে চায় ঝর্ণা নদী বা সাগরের মত বয়ে চলতে, উচ্ছল হতে, কমনীয় হতে। কিন্তু উদার হতে কি? এই চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে সুখ খোঁজে। এটাই তার কাংখিত সুখ পাখি। সে সুখ পাখিকে মনের খাঁচায় বন্দি করে আপন আত্মাকে পরিপূর্ণ করে রাখতে চায়। তাতে কার এলো বা গেল দেখার সময় নেই। শুধু অক্লান্ত পাখির পিছনে ছোটে; কিন্তু কেন যেন পাখিকে কিছুতেই ধরতে পারে না। যতই না পারে ততই অস্থিরতা বাড়ে। কিন্তু কেন? কেন সে অসুখী? সে কি আরও কিছু চায়? কিন্তু তার তো অভাব নেই। রূপ যৌবন অর্থ, সবই তার আছে। সে সুন্দরী, কিন্তু আরও সুন্দরী হতে চায়। সে তার নৌকোর মত চোখ, রংধনুর মত ভ্রæ, হাতে গড়া প্রতিমার মত মাজা-ঘসা দেহের ভাঁজ আর বাঁকগুলো আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে চায়। গরিব ঘরের ¯^ামীর ভাল চাকরির বদৌলতে ভাল আর্থিক অবস্থার আরও উন্নতি চায়। সুখী হতে এগুলো তার হিমালয়ের চূড়াকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার বাস্তবতায় বিভোর হতে চায়।
সবকিছু হাতের নাগালে এসেও যেন সব অধরাই থেকে যায়। তাই কোথায় যেন তার অতৃপ্তি। বোধহয় তাই সে অসুখি। আর এ সুখের জন্যে সে সব রকম ত্যাগ ¯^ীকার করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে সে তার কলা-কৌশল, রূপ-যৌবন, আচার-আচরণ আর টাকা-পয়সা সব কিছুকে ষোল আনার বেলায় আঠারআনা কাজে লাগাতে প্রস্তুত। শুধু প্রস্তুতই নয়। কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে, পাঁচ পাঁচটি বছর ধরে। সে তার সেই আঠারআনাকে উসুল করে চব্বিশ ঘন্টা ধরে। সকালে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে রাতে বিছানায় গিয়ে ঘুমান পর্যন্ত।

নিজের আকাংখাকে সে বিস্ফোরিত করে আপন ইচ্ছায়। তাতে কেউ অগ্নিদগ্ধ হলো বা পটল তুললো দেখার সময় নেই। এমন হাজার আকাংখার একটিকে টাইমবোমার মত সংসারের মাঝে ফেলে দিব্বি বসে বসে তামাসা দেখছে গত সাত দিন ধরে। বাড়ির কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে চাকর-বাকর সকলকে নির্ঘুম করে রেখেছে। আজ সন্ধ্যায় বিস্ফোরণ। নিজের সুখ সৃষ্টির উল্লাসে যে ধ্বংস হয় হোক ।

গত সাত দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কচি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে তার দিন শুরু হচ্ছে। রূপচর্চার বিদেশি সামগ্রি, হাল ফ্যাসানের উপযোগি পোষাক, নিত্য নতুন গহনা তার ঠিক ঠিক চাই, আছেও। দাম্পত্য জীবন পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সন্তানের মা হতে চায়নি। পাছে ফিগার নষ্ট হবে। চুলোর পিঠে সে কখনও যায় না। এ সাত দিন তো প্রশ্নয় উঠে না। আগুনের আঁচে ত্বক ঝলসে লাবণ্যতা নষ্ট হবে। চাকর-বাকর ছাড়া সে বাড়িতে রান্না ধোয়া মোছা অসম্ভব হলেও, এই মহিলা এই সব নি¤œশ্রেনীর মানুষদের মানুষ বলে গন্য করে না। যাতে করে মাথায় উঠে কঁঠাল ভাঙ্গার সুযোগ না পায়। তাই সার্বক্ষণিক তীর্যক বাক্যবানে তাদের ধরাশায়ি করে রাখে। তাদের কাঁহাতোক সব কাজেই তার সুন্দর মুখ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। যদিও সে কিছুই বোঝে না সেটা তার সৌন্দর্যে কতটা নি¤œমুখি প্রভাব ফেলতে পারে।

সকাল আট’টা বাজে। বেড রুমের দরজায় কড়া নেড়ে বোয়া ডাকে, খালা, ও খালা, উডেন। আফনাগো কুডুম আইছে। 
মতিনের বৌ ঠাস করে দরজা খোলে। কে এসেছে? তুমি জান না? আমি ন’টার আগে উঠি না। কাল রাতেই তো বলে রেখেছিলাম , আজ আমার প্রোগ্রাম আছে দশটার আগে ডেকো না। 
আফনের মামী-শাশুরি আইছে, হের বড় বিপদ, হের ছুডোমায়াডা খুব অসুস্থ্য, হাসপাতালে ভর্তিক করুন লাগবো। হাত খালি, কিছু ট্যাকা চায়। হে ডরোইন রুমে বইয়া আছে। কী করুম খালা, কত্ত কইরা কইলাম, হুনলো না। খুব নাকি বিপ... 
বোয়া, মুখে মুখে কথা বলবে না। তার সমস্যা আগে না আমারটা আগে? এ্যাঁহ? যাও বলো, দেখা হবে না। রাগে মতিনের বৌ এর মুখ ফুলে উঠে। গজগজ করে, যতসব ফকির-মিসকিনের দল। মিথ্যুক, সাত-সকালে বাহানা করে টাকা বাগানোর ফন্দি। চিৎকার দিয়ে বলে, বোয়া পানি গরম দিয়েছ? ডাব? ডাব রেডি কর। যাও, আর ওনাকে চলে যেতে বল। এখন দেখা হবে না। আর শোন, একটা হাফ বইল্ড ডিম, মাখন দিয়ে দুই ¯øাইচ পাউরুটি, খানিকটা ফ্রেন্স ফ্রাইট, দু’পিস চিকেন ফ্রাইট আর এক গ্লাস গরম দুধ, পরে এক মগ গরম কফি খাব। এর বেশি কুছুই খাব না। ডাক্তার বলেছে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। টিক দশটায় জিম করতে যাব। 

পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়র সাথে তার সম্পর্কটা এমনই। গরিব অশিক্ষিতদের প্রকাশ্যে ঘৃণা করে। কথায় কথায় তাদের ছোটলোক, চামার, চাষা বলে গালাগার করে। তার বক্তব্য পরিস্কার ওদের মত আমি মিথ্যুক, লোভী আর চরিত্রহীন নই। ধনীদের কথা উঠলে হিংসায় মরে। তাদের চৌদ্দ নম্বর আয়-রোজগারের কথা বলে মিথ্যে শান্তনা খোঁজে। মধ্যবিত্তের উপর প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা। ¯^ামী পক্ষের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় তো বটেই নিকটাত্মীয়রাও তার বাড়ি যেতে চায় না। সবাই ঘৃনা করে খানে-দজ্জালের মত ব্যবহার বলে। অবশ্য তার ভাষ্য ভিন্ন। তার মতে এসব আত্মীয়, আত্মীয় নয়, চান্ডাল। এরা ম্যানার জানে না। তবে তার নিজ বাবা-মা, ভাই-বোনদের বেলায় এই নিয়ম শিথিলই নয় অ¯^াভাবিকভাবে উল্টো। 

আজ দুপুরে মতিনের বৌ পার্লার থেকে মাধুরি কাট করে আনা চুলে কন্ডিশোন করেছে। চুল সিল্কেরমত ফুরফুর করছে। দুপুরে ঘুমানোর চেষ্টা করেও নানা উত্তেজনায় ঘুম হল না। বিকালে ফেস স্টিমিং করছিল ত্বকের লাবণ্যতা বাড়ানোর জন্যে। সেসময় আর এক সুন্দরী প্রতিযোগী বাসায় এলো। মনে মনে মহাক্ষিপ্ত। আসার আর সময় পেল না। সৌজন্য কিছু কথা হল। তবে তার নিখুত সাজসজ্জা, আকর্ষনীয় চেহারা দেখে সে মনে মনে হিংসায় জ্বলে মরছিল। খুব বিরক্ত হচ্ছিল। আড়ালে যেয়ে এক ফাঁকে ঠোঁটের এক কোনা বাঁকা করে নিঃশাসের সাথে নাকের ভিতর থেকে শব্দ করে, হুঃ। ভেংচি কেটে ক্ষুত বের করে বলে আপনার নাকটা বোঁচা, তা কী খেয়াল করেছেন? ভদ্রমহিলা শুধু বলেছিল, আল্লাহ্র দান, কী আর করা। তো ঠিক আছে সন্ধায় দেখা হবে।

advertisement

লেখাপড়া জানা এই মহিলা ঘষে মেজে ইন্টারমিডিয়েট। তাতে তার মাটিতে পা পড়ে না। তার ইংরেজি বলার জন্যে পেটে বোমা মারার দরকার হয় না। তবে হাই হ্যালো বাট সো হোয়াট সরি-র বাইরে যেতে পারে না। এগুলো সে বাক্যের আগে মাঝে বা শেষে হর হামেশা ব্যবহার করে। চাল-চলন, হাব-ভাবে নিজেকে হাই সোসাইটির একজন সদস্যা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা সর্বদায় লক্ষ্য করা যায় এবং নিজেকে পরিচয় দেয়, আমি মিস জেরিন। যাদও প্রকৃত নাম জরিনা বেগম।

অথচ আমাদের মতিন কী ভেড়ার ভেড়া। ছাগল বা গরুও। গরিব মানুষের ছেলে। হালে ¯^ল্প বেতনের মোটা উপরি পাওয়া চাকরির জোরেই মনে যেটুকু জোর। ওই বা কী করবে। ওর এমন বড় তোরের গলা নয় যে এর প্রতিবাদ করবে। বুকের পাটা এমন চওড়া নয় যে এগুলো প্রতিহত করবে। ঘারের উপর কটা মাথা যে বিদ্রোহ করবে? দূর্বল ব্যক্তিত্বের কারণে মতিন মানুষ হয়েও মেরুদণ্ডহীন প্রাণী কেঁচোর মত জীবন যাপন করে। পক্ষান্তরে অহংকারী গৃহবধূ উচ্চাভিলাসী নীতির কারণে বিষধর সাপ হায়ে মতিনের সংসার নীল দংশনে জর্জরিত করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র বৌয়ের কারণে মতিন মিত্রহীন, অর্থহীন, ভেগাবণ্ডে পরিণত হয়েছে।

সবখানেই জেরিনের হস্তক্ষেপ, খবরদারি। সবকিছুই তার নিয়ন্ত্রনে। যা চায় তাই পায়। টাকা চাই তো, টাকা। ক্ষমতা চাই তো, ক্ষমতা। ¯^ীকৃতি চাই তো, তাই। তার পরও তার খাই খাই ভাব। পেট ভরে তো মন ভরে না, মন ভরে তো চোখ ভরে না। আরও চাই। তবুও তার মনে সুখ নাই। সে সুখী হতে চায়। আরও সুখী। 

আজ বিকাল থেকেই তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে আছে। প্রধান কারণ সকালেই গেস্ট, বিকালে ঘুমহয়নি। দ্বিতীয় কারণ ঔ প্রতিযোগিনী। তৃতীয়ত মতিন বায়না ধরেছে বিউটি কনটেস্টে যাবে কিন্তু সে তাকে নেবে না। কেননা মতিন কার্টেসি জানে না। সে তার ছোট বোনকে নিয়ে এসেছে, তার সাথে যাবে। ঘুম না হওয়ায় চোখ লাল হয়ে আছে। মুখটা বিশ্রিরকমের ফুলে আছে। রাগে ক্ষোভে তার অনুষ্ঠানেই যেতে ইচ্ছে করছে না। যত ঝামেলা আজই হতে শুরু করলো। অথচ আজ কিনা তার জীবন-মরণের এসিড টেস্ট।

কিন্তু মিস জেরিনের ধারণা, সে এটেণ্ড করলেই সুনিশ্চিৎ চাম্পিয়ন। কে আছে তার ধারে কাছে? কেউ নেই। অতএব সব সমস্যাকে ফুতকারে উড়িয়ে দিয়ে বুক ফুলিয়ে অনুষ্ঠানে গেল। একটুপর সন্ধ্যায় শহরে এক ব্যতিক্রমধর্মী বিউটি কনটেস্ট শরু হবে। ‘মিস সিটি বিউটি কনটেস্ট’। আকর্ষণীয় পুরস্কার। আমাদের মতিনের বৌ অংশ গ্রহন করবে বলে গত সাত দিন তার নাভিশ্বাস উঠেছে। সে মিস সিটি হলে তার সুখের আর একমাত্রা যোগ হবে।

প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সমাজের উচ্চ-বিত্ত ক্ষমতাবানরা এবং নামি-দামি তারকারা উপস্থিত। বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বরা বিচরক মণ্ডলী। সে চাম্পিয়ন হবে, গন্যমান্যদের হাত থেকে ট্রফি নেবে, সমাজে নাম ফুটে ঊঠবে, ভাবতেই তার মাঝে মাঝে বুকের ভিতর বলক দিতে থাকে। প্রতিযোগীতার শেষ দিকে তাকে খুব উৎসাহিত মনে হল। 
এবার ফলাফল ঘোষণার পালা। একে একে তৃতীয়, দ্বিতীয়, দ্বিতীয় রানার-আপ এবং প্রথম রানার-আপ এর নাম ঘোসণা করা হলো। মিস জেরিন খুব হাসি-খুশি, ফুরফুরে মেজাজে আছে। সে ধরেই নিয়েছে এতক্ষণ যেহেতু তার নাম ঘোষণায় আসেনি; এবার তার নাম আসবে মিস সিটি হিসেবে। কিন্তু মিস জেরিনের নাম আসে না। মিস সিটি হলো সেই বিকেলের ক্ষুতঅলা মেয়েটি। শোকে-দুঃখে মিস জেরিন মূর্ছিতা গেল। এক সময় জানা গেলো সে ষোলজনের মধ্যে পনেরতম হয়েছে। কেউ কেউ টিজ করলো, ভাগ্যিস ষোলতম হননি। সে জ্ঞান ফিরে পাবার পর নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান তাকে শান্তনা দিতে লাগলেন, মিস! কনটেস্ট যেমন তেমন আপনার এস এম এস স্কোর নি¤œ পর্যায়ে। শুভাকাংখীরা আপনার পক্ষে কোন ভোটই করেনি। লেগে থাকুন। পরেরবার চেষ্টা করুন।
যাই হোক সেদিন প্রায় রাত বারটার দিকে ব্যর্থ মিস সিটি তার নিজ বোনের সাথে ভাঙা মন নিয়ে রিক্সাযোগে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকায় ছিনতাইকারীর হাতে পড়লো। তারা গান পয়েন্টে মিস জেরিনের গহনাপত্র হাতিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে তাকে নামিয়ে নিতে যাবে এমন সময় পুলিশের বাঁশির শব্দে পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে গেল।

অবশেষে মান-সম্মান, গহনাগাটি সবকিছু খুইয়ে বাসায় পৌঁছল। সবকিছু শুনে মতিন কোন মন্তব্য না করে বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। কিন্তু কিছুতেই মিস জেরিনের ঘুম আসছিল না। প্রচন্ড মাথা ব্যথা। বুকের ধরফরানি ভয়াবহভাবে বেড়েছে। সে শুধু এপাশ ওপাশ করতে লাগলো। এমনটা নতুন কিছু নয়। প্রায়ই তার এমন হয়। মাইগ্রেইন আছে। সে দুটো নাপা-এক্সট্রা ও একটা ডরমিকাম খেয়ে ফের বিছানায় গেল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। তার অস্থিরতা বেড়েই চললো।
তখন খোলা জনালা দিয়ে একাদশির জোসনা এসে মতিনের সরল ¯^াভাবিক শান্ত মুখকে আরও সুন্দর ও নিশ্চিন্ত করে তুলছিল। তার নাক ডাকার মিহি শব্দে জেরিন তাকে লক্ষ্য করলো। মনে হল জোসনার নরম আলোর সাথে পাল্লা দিয়ে মতিনও নরম রূপালী হাসি হাসছে। সে বিরক্ত হয়ে কনুই দিয়ে ঘুতো মেরে জাগিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, হাসছো কেন? 
মতিন তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে শুধু তুলতুলে পাতলা হাসি দিয়ে বললো, কই? নাহ, তেমন কিছু না। এই একটা ¯^প্ন দেখছিলাম আরকি।
ব্যর্থ মিস সিটি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বললো, সত্যিকরে বল, কী দেখছিলে, নিশ্চয় কোন বড় লটারীর পুরস্কার পেয়েছ!
না, না। একটা পাখি মানে পায়রা, আরে শান্তির পায়রার সাথে হঠাৎ বন্ধুত্ব হয়ে গেল। তার সাথে ঐ মেঘমুক্ত ধূসর আকাশে জোসনায় সাঁতার কাটছিলাম, মানে উড়ছিলাম।
এবার বাজখাঁই আওয়াজ হলো, ভন্ডামী রাখ, তুমি হাসছিলে কেন, তাই বল।
জোসনার মত হাসি দিয়ে মতিন বললো, পায়রাটা বলছিল কী, ‘যে আত্মা সর্বদা অতৃপ্ত বা অপূর্ণ থাকে সুখ পাখি সেখানে বাস করে না’। 

bangla mojar mojar tottho

মানুষের জানার আগ্রহ অপরিসীম , আর আমাদের চারপাশে ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত নানান ঘটনা, কতগুলো ঘটনাই আমরা জানতে পারি ??? পৃথিবীতে এমন এমন ঘটনা ঘটে কিংবা এমন এমন তথ্য আছে যা শুনে আমরা মাঝে মাঝে অবাক হই, আশ্চর্য হই কিংবা অনেক সময় হাসিতে ফেটে পড়ি ,,, আসুন জেনে নেই তেমন কিছু জানা অজানা (Jana Ojana Mojar Tottho) মজার তথ্যগুলো  jana ojana Bengali free “জানা অজানা মজার তথ্য” নামক এন্ড্রয়েড অ্যাপটির মাধ্যমে ।

যেমন --
* আপনি জানেন কি ???
• গুগলের সার্চ বক্সে যদি elgoog.im অর্থাত্ গুগল উল্টা লিখে সার্চ দেয় হয় তবে তা এমন এক গুগল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে যা অরিজিনাল সাইট থেকে সম্পূর্ণ উল্টো!
• সারাবিশ্বে COCA-COLA'র প্রস্তুত প্রণালী মাত্র দুজন জানে এবং তাদের একই বিমানে যাতায়াত নিষিদ্ধ!
• আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল কখনই তার মা অথবা বউকে ফোন করেনি, কারন তারা দুইজন বধির ছিলো।
• কম্পিউটারে সাথে ব্যাবহারের জন্য প্রথম মাউস আবিষ্কার করেন Douglas Englebart নামের ভদ্রলোক, ১৯৬৪ সালে সেটি বানানো হয়েছিলো কাঠ দিয়ে!
• নারীদের তুলনায় পুরষেরা ছোট ছোট অক্ষর ভাল পড়তে পারেন। আর নারীদের শ্রবণ শক্তি পুরুষের তুলনায় বেশী।
• পিক্সেল এর হিসেবে মানুষের চোখ ৫৭৬ মেগা পিক্সেল!
• অংকে এক মিলিয়ন লিখতে ৭টি সংখ্যা লাগে। তেমনি ইংরেজিতে মিলিয়ন শব্দটি লিখতে ৭টি অক্ষর লাগে।
• হাঙর এর কোনও প্রকার রোগ ব্যাধি হয় না!!
• ডিমের কুসুম যাতে খোসায় লেগে যেতে না পারে , তাই মুরগি তার ডিমকে দিনে প্রায় ৫০ বার উল্টে দেয় ।
• এশিয়ার একমাত্র খ্রিস্টান রাষ্ট্র হলো ফিলিপাইন!!
• আপনি যদি কারো দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে ‘কালারফুল’ শব্দটি উচ্চারন করেন, আপনার মুখভঙ্গি দেখে মনে হবে, আপনি তাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলছেন!
• বৈবাহিক জীবন ৫০বছর হলে সেই দম্পতিকে প্রেসিডেন্ট পদক দেয়া হয় - পোল্যান্ডে !
• সাগর মহাসাহরের তলদেশে যত সোনা পড়ে আছে তা যদি উত্তোলন করে পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রতিটি মানুষের ভাগে পড়বে ২০ কেজি করে সোনা।
• তুলনামূলক পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী হল পিঁপড়া যে নিজের ওজনের ০৯ গুণ ওজন বহন করতে পারে।
• এক বক্স তাসের ৪টি রাজা ইতিহাসের ৪জন বিখ্যাত রাজার প্রতীক। তারা হলেনঃ রাজা দাউদ, আলেকজান্ডা র, জুলিয়াস সিজার এবং শার্লিম্যান।
• মধ্যযুগে আলকেমিরা বিভিন্ন ধাতুকে স্বর্ণে রূপান্তর করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন। তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই কিনা জানা যায়নি, তবে স্যার আইজাক নিউটনও সময় ব্যয় করেছিলেন স্বর্ণ তৈরির আশায়।
• ডায়েট কোকাকোলা পানির ভিতরে ঢাললে পানির উপরে ভেসে থাকবে। কিন্ত সাধারণ যে কোকাকোলা আছে তা পানিতে ঢাললে পানির সাথে মিশে যাবে।
• হিটলারের প্রথম ভালোবাসা ছিল একজন ইহুদী তরুণী। কিন্তু সাহসের অভাবে হিটলার তার ভালোবাসার কথা সেই তরুণীকে জানাতেই পারেন নি! অথচ এ ব্যক্তিই পরবর্তী জীবনে হত্যা করেছেন বহু ইহুদীকে।
• অধিক মেয়েদের সাথে বসার সুযোগের জন্য বিল গেটস তাঁর স্কুলে আসনবিন্যাসের প্রোগ্রাম কোড পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন।
• সিঙ্গাপুরকে বলা হয় সিংহের শহর বা লায়ন সিটি। অথচ বাস্তবে গোটা সিঙ্গাপুরে একটাও সিংহ নেই।
• বিল ক্লিনটন তার প্রেসিডেন্সির ৮ বছরে মাত্র দুটি ই-মেইল সেন্ট করেছিলেন নিজে।
------- এছাড়াও আরও অনেক অনেক মজার তথ্য .........

ধন্যবাদ।

ফেসবুকের বিস্ময়কর ২২ টি অজানা তথ্য

বর্তমানে ফেসবুক সারা পৃথীবির ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের জন্য অন্ন বস্ত্রের মত প্রাত্যহিক চাহিদায় পরিনত হয়েছে। আপনি হয়তো অনেক কিছুই জানেন না যা কিনা ফেসবুকের দুনিয়ায় রীতিমত অবাক করা বিষয় হয়ে আছে। তাহলে এবার বিস্ময়কর ফ্যাক্ট গুলো জেনে নেই।

১। প্রতিদিন প্রায় ৬ লক্ষ লোক ফেসবুকে বিভিন্ন ইউজারের একাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করে।
২। আপনি চাইলে ফেসবুকে 'pirate' অর্থাত জলদস্যু নামক ভাষা ব্যাবহার করতে পারবেন।
৩। আমেরিকান ফেসবুক ইউজাররা প্রতিদিন গড়ে ৪০ মিনিট সময় কাটায় ফেসবুকে।
৪। ফেসবুকের প্রথম ইউজার হচ্ছেন আল পাসিনো।
৫। স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীরা গড়ে ১৪ বার ফেসবুকে প্রবেশ করে।
৬। ফ্রেন্ড কে আনফ্রেন্ড করার কারনে কিছু মানুষকে খুন পর্যন্ত হতে হয়েছে।
৭। আপনি কোন সাইটে প্রবেশ করছেন কিংবা সাইন আউট করছেন কিনা সেটাও ফেসবুক ট্র‍্যাক করে ফেলতে পারে।
৮। এক জরীপে দেখা যায়, ৩ জনের মধ্যে ১ জন ইউজার ফেসবুক নিয়ে অসন্তুষ্ট।
৯। ফেসবুকের থীম হচ্ছে নীল। কারন মার্ক জুকারবার্গ লাল-সবুজ কালার ব্লাইন্ড।
১০। ফেসবুকে ৩০ মিলিয়ন মৃত লোকের ইউজার একাউন্ট আছে।
১১। চীনে ২০০৯ সাল থেকে ফেসবুক, টুইটার, নিউইয়র্ক টাইমস নিষিদ্ধ।
১২। ২০১১ সালে আমেরিকার এক তৃতীয়াংশ ডিভোর্সের কারন ফেসবুক।
১৩। আপনি শত চেষ্টা করলেও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ কে ব্লক করতে পারবেন না।
১৪। প্রতেক আমেরিকান ইউজারের কাছ থেকে গড়ে ৫.৮৫ ডলার আয় করেছে ফেসবুক।
১৫। পৃথীবির সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ইউজার হচ্ছে আমেরিকান।
১৬। এক ফেসবুক আসক্ত ব্লগার একজন মহিলা ভাড়া করেছেন তাকে ততবার চড় মারার জন্য যতবার সে ফেসবুকে লগিন করবে।
১৭। ব্রিটেনে এক মহিলাকে ২০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিলো। কারন তিনি ফেইক একাউন্ট খুলে নিজেই নিজেকে খারাপ খারাপ ভাষায় মেসেজ করতেন।
১৮। ৮.৭ শতাংশ ফেসবুক ইউজার ই ফেইক।
১৯। প্রতি মিনিটে গড়ে ১.৮ মিলিয়ন লাইক পড়ে ফেসবুকে।
২০। মার্ক জাকার বার্গ ফেসবুকের সি ই ও হিসেবে মাসে বেতন নেন মাত্র ১ ডলার বা প্রায় ৮০ টাকা।
২১। ২০১৪ সালে মিনেসোটা তে এক চোর ধরা পড়েছিলো, কারন সে যেখানে চুরি করতে গিয়েছিলো সেখানকার পিসি তে সে ফেসবুক একাউন্ট লগ ইন করে লগ আউট করতে ভুলে যায়। ফলে চোরকে চিহ্নিত করা গেলো।
২২। ফেসবুক একটি ফিচার তৈরী করেছে, মৃত্যুর পর ইউজারের একাউন্ট কোন ব্যাক্তি ব্যাবহার করবেন সে উদ্দেশ্যে।

Contact Form

Name

Email *

Message *

 

About Author

Recent Comments