Some Important Website

বাংলা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট সমুহ

Wednesday, August 10, 2016

২১।মস্তিষ্কের কোষ সতেজ রাখতে যা করবেন।

একটু বয়স হলেই আমাদের মধ্যে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এটি কারও মাঝ বয়সেই শুরু হয়ে যায়। কারও আবার বৃদ্ধ বয়সেও স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকে। মস্তিষ্কের কোষগুলো বুড়িয়ে যাওয়া শুরু করলেই কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি। সকালে কী খেয়েছেন, দুপুরেই হয়ত ভুলে যাচ্ছেন সেটা। টেলিভিশনে কোন পরিচিত মানুষের বক্তব্য শুনছেন, কিন্তু নামটা আসি আসি করে মনে আসছে না। কোন পড়াই মাথায় থাকছে না। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে অ্যালজ়াইমার। আর একবার এই রোগ আপনাকে কাবু করে ফেলতে পারলেই কিন্তু জীবনের আনন্দটাই মাটি। তবে, একে ঘায়েল করার জন্যও উপায় আছে। এর জন্য আপনাকে সতেজ রাখতে হবে আপনার মস্তিষ্ক। আসুন মস্তিষ্কের কোষ সজিব রাখার কিছু কৌশল জেনে নিই- খাদ্য তালিকায় রাখুন জাম – আজ থেকেই খাবারের তালিকায় জায়গা দিন জাম ও স্ট্রবেরিকে। জামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা ফ্ল্যাভানওয়েডস মস্তিষ্কের কোষগুলোকে রক্ষা করে। ফলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। ঘরের কাজ করুন – সারাদিন শুয়ে, বসে কাটাবেন না। এতে মস্তিষ্কের সতেজতা চলে যায়। তাই ঘরের ছোটখাটো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যেমন- ঘর গোছানো, রান্নাবান্না করা, বাসন ধোয়া ইত্যাদি। তাস খেলেও কাটাতে পারেন অবসর সময়। মস্তিষ্ক সতেজ থাকলে অ্যালজ়াইমারের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। অন্য ভাষা শিখুন – নতুন কিছু করুন। নতুন কিছু শিখুন। যেমন ধরুন মাতৃভাষার সঙ্গে শিখে ফেললেন নতুন কোনও ভাষা। এতে অনেকটা সময়ও কেটে যাবে। মস্তিষ্কের কোষগুলো সতেজ থাকবে। সোজা কথায় মস্তিষ্ককে কাজে লাগান। জানেনই তো, নতুন গাড়িও দীর্ঘদিন ফেলে রাখলে তার কর্মক্ষমতা কমে যায়। তেমনি লোহার তৈরি হাতিয়ার দীর্ঘদিন ব্যবহার না করলে তাতে মরিচা ধরে যায়। ভাবনায় সময় দিন- প্রতিদিন দিনশেষে সারাদিনে কী কী করেছেন তা ধারাবাহিকভাবে মনে করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে এজন্য আঁধাঘণ্টার জন্য নিরিবিলি কোথাও চলে যান। এরপর ভাবুন। এটা প্রতিদিন করুন। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে। রাগ এড়িয়ে চলুন- রাগ মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যতটা সম্ভব রাগ, পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। এমন পরিস্থিতি দেখলে ওই স্থান থেকে প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য বাইরে চলে যান। ধর্মকর্ম: ধর্মীয় বিভিন্ন রীতিনীতি পালনেও মস্তিষ্ক শীতল হয়। কর্মক্ষমতা বাড়ে। মুসলমানরা নামাজের সময় যখন সিজদায় যায় তখন মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকাসহ ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া সকল ধর্মে মানুষ যখন সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে একনিষ্ঠভাবে প্রার্থনা-পূজা-অর্চনা করে, তখন তা মেডিটেশনের কাজ করে। এতে মস্তিষ্ক শীতল হয় ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে। ব্যায়াম: নিয়মিত হালকা ব্যায়াম শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো সতেজ থাকে। স্মৃতিশক্তিও ভালো থাকে। কী ভাবছেন? আর দেরি করবনে না। আজ থেকেই ছোটখাটো এই বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্ককে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন।
Share this article :

0 comments :

Contact Form

Name

Email *

Message *

 

About Author

Recent Comments