Some Important Website

বাংলা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট সমুহ

Friday, April 16, 2021

অনলাইন ইনকাম – অনলাইনে আয়ের দারুন উপায় (২০২১ ট্রিক্স )

 অনলাইন ইনকাম ২০২১ (Online Income):  আপনি কি একজন ছাত্র? নাকি চাকরিজিবি? এই পোষ্টটি তাহলে আপনার জন্যই। আপনি যদি আমাদেরকে ফলো করেন তাহলে আপনি পড়ালেখার বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন হতে বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। আসলে বর্তমানে অনলাইনে আয় এর জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে ।

সব গুলোর মধ্য থেকে আমি আজকে আপনাদেরকে দেখাব কিভাবে সবচেয়ে সহজে আপনি অনলাইন হতে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়


আমার আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা নিজের পেশার পাশাপাশি অনলাইন ইনকাম করতে আগ্রহী। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবং যারা ছোট- চাকরি করেন। আমি জানি এক ছাত্র ছাত্রী যখন স্কুল-কলেজ পাড়ি দিয়ে ইউনিভার্সিটি লেভেলে ভর্তি হয়। বেশিরভাগ মফস্বলের ছাত্র ছাত্রীদের যে অবস্থা থাকে, আমি সেই অবস্থার মধ্যে ছিলাম। সে সময় থাকে না কোন আয় এর উপায় । ফ্যামিলি থেকে টাকা নিতে গেলেও পড়তে হয় নানান লজ্জায় । নিজেকে তখন অনেক ছোট মনে হয়। এই ভেবে যে আমি একজন ইউনিভার্সিটির ছাত্র অথচ বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে পড়ালেখা করি।

আমার আজকের এই টিউনটি উৎসর্গ করলাম তাদের যারা পড়াশুনা বা চাকরির পাশাপাশি অবসরসময়কে কাজে লাগিয়ে  পড়ালেখার পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে অথবা অন্যন্য কাজের পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে চান কিন্তু মাধ্যম খুজে পান না।

তো বন্ধুরা আপনি অনলাইনে আয় করতে চান বা না চান ,  আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার জানা প্রয়োজন। এই আর্টিকেল এর প্রত্যেকটি প্যারাগ্রাফ-ই গুরুত্বপূর্ণ তাই কোন অংশ বাদ না দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।


আসলে কি অনলাইন ইনকাম সম্ভব

অনেকে ভাবেন যে অনলাইনে কি ইনকাম করা যায়? যারা এখনো এই প্রশ্নের মধ্যে আছেন আমি তাদেরকে বলছি, আপনারা বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে চলতে পারেন নি। কেননা বর্তমান সময়ে যে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে রোজগার করা যায় সেটা আর কারো অজানা নয়। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি আসল কথায়।

আপনি যদি একজন ছাত্র বা একজন ব্যবসায়ী অথবা একজন চাকরিজীবী ও হন। আপনার পড়ালেখা ব্যবসা বা চাকরির পাশাপাশি কিছু সময় করে প্রতিদিন অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে যে আপনি যে কথাগুলো বলছেন আপনি কত টাকা ইনকাম করেন । রাইট, আমি কত টাকা ইনকাম করি সেটা আমি এই পোষ্টের নিচে দিয়ে দেবো শুধু আপনাদের অনুপ্রেরণার জন্য।

যে পন্থা গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইন হতে ইনকাম শুরু করতে পারবেন আমি শুধুমাত্র সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। কেননা বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য হিউজ পরিমান এ কাজ রয়েছে ।

বন্ধুরা, যে কাজটি করলে খুবই সহজে টাকা ইনকাম করা যায় আমি শুধুমাত্র সেই গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ উপায়।

 

অনলাইনে আয় এর সবচেয়ে সহজ উপায়

অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায় ? অনলাইন ইনকামের মাধ্যম গুলির মধ্যে যতগুলো বিষয় নিচে যুক্ত করেছি এই সবগুলো থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। নিচের যে কয়টা অপশন আমি দিয়েছি সবগুলোতেই আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি প্রথম যে অপশনটা রয়েছে ব্লগিং বর্তমানে আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে নিয়োজিত আছি।

কত টাকা ইনকাম করি আপনাদের কে কথা দিয়েছি আমি এই পোষ্টের নিচে দিয়ে দেব শুধুমাত্র অনুপ্রেরণার জন্য। তার আগে আমরা আলোচনা করে নিই কিছু অনলাইন ইনকাম ট্রিক্স- যা জানা আপনার একান্ত প্রয়োজন।

1. ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম (Blogging)

অনলাইনে আয় করার জন্য বর্তমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যত ধরনের কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং ভালো পরিমাণে ইনকাম করার পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগিং করে ইনকাম করা।


একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগঃ

ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগ। যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন মাধ্যম এপ্লাই করে ইনকাম করতে পারবেন। আরেকটি ব্লগ তৈরী করার পর আরও কিছু জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে যেমন ব্লগের ভিজিটর আনতে হবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক। এগুলো পরিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করলেই আপনার অনলাইন ইনকাম শুরু হবে। এবং করতে পারবেন আনলিমিটেড ইনকাম।

ব্লগ বা ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে এই রিসার্চগুলো পড়ার পরামর্শ রইলঃ

ক) ব্লগিং কি কিভাবে শুরু করতে হয়।

খ) বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটোরিয়াল।

গ) কিভাবে বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন এবং একটি ওয়েব হোস্টিং। ডোমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং থাকলে আপনি নিজে নিজেই আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ CMS (Content Management System) এর পয়োজন হয়।

ডোমেইন এবং ওয়েব হোষ্টিং সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

ক) ডোমেইন কি ? কিভাবে রেজিস্টার করতে হয়।

খ) একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় যে যে বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখা উচিত। 

গ) ওয়েব হোষ্টিং কি ? হোষ্টিং নির্বাচনের জন্য যে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত।

অর্থাৎ একটি ডোমেইন,  ওয়েব হোস্টিং এবং সিএমএস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

ক) ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার কোনটি দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন

ক) ব্লগার দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার টিউটরিয়াল

গ) ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল

ব্লগে ভিজিটর আনতে হবে

মনে করুন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছেন এখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে প্রয়োজন হবে ভিজিটরের। শুধুমাত্র আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকলেই সেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব নয় যদি সে ওয়েবসাইটে ভিজিটর না থাকে। ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয় হচ্ছে ভিজিটর। আপনার ওয়েবসাইটের যতদিন থাকবে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে কিছু কিছু এসইও ট্রিক্স শিখতে হবে। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে আস্তে আস্তে ভিজিটর আসা শুরু করবে। এবং আপনার কাজের সাথে সাথে ভিজিটরের পরিমাণ বাড়তে থাকবে এবং আপনার ইনকাম এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

ক) কিভাবে একটি নতুন ব্লগে ভিজিটর আনবেন

খ) এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল

আপনি যদি এই কাজগুলো ইতিমধ্যে করে থাকেন ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন ইনকাম করার পালা। ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য নিচের মাধ্যমগুলো এপ্লাই করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট

ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে অনলাইন ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায় হচ্ছে গুগল এডসেন্স। এটি গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে খুব সহজেই গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে গুগোল অ্যাডসেন্সে নীতিমালাগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

গুগল এডসেন্স সম্পর্কে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রয়েছে আপনি সেটাই পড়া নিতে পারেন।

গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল হওয়ার পর টাকা কিভাবে তুলবেন ? গুগল এডসেন্স একাউন্টে যখন 100 ডলার পূর্ণ হবে তখনই শুধুমাত্র পেমেন্ট পাবেন। গুগল এডসেন্স সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিয়ে থাকে এর জন্য আপনাকে পেমেন্ট এর জন্য আবেদন করতে হয় না।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিমাসে 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করবেন বিস্তারিত।

এফিলিয়েট লিংক বা প্রমোশন

গুগল এডসেন্স ছাড়াও আপনি চাইলেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগিং করলে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রোডাক্ট রিলেটেড আর্টিকেল লিখতে হবে ।  সেখান থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি করার এফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে দিতে হবে। যখনই আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কেউ কোন প্রোডাক্ট কিনবে তখন আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন । এটি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা প্রমোশন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে। 

ব্যানার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটাতে ভালো পরিমাণে ভিজিটর থাকে তাহলে আপনি চাইলেই ব্যানার বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্যানার বিজ্ঞাপন এর মাধ্য অনলাইন ইনকাম পদ্ধতিঃ আপনার ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা পণ্যের বিজ্ঞাপন ব্যানারে দিবে । আপনি সেটিকে আপনার ওয়েবসাইটের যেকোনো একটি স্থানে প্লেস করবেন। এবং এডভারটাইজার এর কাছ থেকে সাপ্তাহিক বা মাসিক টাকা নিবেন।

স্পন্সর বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনের মাধ্যমে আয়

স্পন্সর বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামের পদ্ধতি হলো: আপনার ওয়েব সাইটে যে কোন স্পন্সর বা ব্যক্তি এসে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য রিলেটেড আর্টিকেল দিয়ে যাবে এবং সেটি আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করতে হবে। এর বিপরীতে সেই স্পন্সর আপনাকে প্রতি আর্টিকেল অনুযায়ী অথবা মাস হিসেবে টাকা দিয়ে দেবে।

ই-কমার্স এর মাধ্যমে আয়

ই-কমার্স হলো আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজস্ব পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার নাম। অর্থাৎ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটিতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিয়ে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করে সেখান থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। সেখান থেকেও আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

বেশকিছু ই-কমার্স ওয়েবসাইট হলো যেমন, আমাজন ডট কম, আলি এক্সপ্রেস ডট কম, দারাজ ডট কম, ই-ভ্যালি ডট কম ইত্যামি

আপনার ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইট, এবং টাকা ইনকাম করার জন্য এফিলিয়েট লিংক অথবা গুগল এডসেন্স দিয়ে আয় করুন। আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান লিংকঃ বাংলায় পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটরিয়াল [অনলাইনে আয়]


২ ।Freelancing – একজন লেখক হয়ে

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে Freelancing একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। Freelancing করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য Freelancing বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকে সেই সমস্ত সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে Freelancing এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বি হচ্ছে।

Freelancing হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার লেখা বা আর্টিকেল শেয়ার করে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন কিংবা যে কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন, তাহলে সে বিষয়ে ভালোমানের আর্টিকেল লিখে Freelancing এর কাজ করতে পারবেন। আপনার লেখার মান যদি ভাল হয় তাহলে Freelancing এ আপনার লেখার মূল্য অর্থাৎ টাকা ইনকামের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকবে। এখান থেকে মাসে লাখ টাকা উপার্জন করে এমন লোকও আছে। এখানে যার যার মেধা অনুসারে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।


০৪। Adsense থেকে টাকা আয়

Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল কর্তৃপক্ষ সয়ং নিজে পরিচালনা করছে। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলকে ভালোমানের Platform এ নিয়ে যেতে পারেন এবং ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে Adsense থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
এ পদ্ধতীতে আপনার ব্লগে কিংবা ইউটিউব ভিডিওতে Adsense এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ক্লিক প্রতি ডলার আয় করতে পারবেন। অনেকে বলে Adsense Approve করাটা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বলছি মোটেও কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি মানসম্মত ২৫-৩০ টি ইউনিক কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে Adsense Approve হয়ে যাবে। এখান থেকে আপনি দীর্ঘ দিন যাবত টাকা ইনকাম করে যেতে পারবেন।
Adsense থেকে টাকা আয়

০৫। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে (Ask And You Answer)

আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন - Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে। তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা আয় করতে হবে।
প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে অনলাইনে আয়

০৬। EBAY and AMAZON এ Products বিক্রি

আপনারা হয়তো জানেন যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য কেনা কাটার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Ebay and Amazon. এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আপনার পন্যটি যদি ক্রেতার কাছে ভাল মনে হয়, তাহলে পন্যটি কেনার জন্য ক্রেতারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যদি আপনার Products বিক্রি করে একজন ভালোমানের বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে এখান থেকে কমদামে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে ভালো দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হিসেবে প্রমান করতে হবে।
EBAY and AMAZON এ Products বিক্রির মাধ্যমে আয়

০৭। গ্রাফিকস ডিজাইন

অনলাইনে গ্রাফিকস ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ, তারা বিভিন্ন ডিজাইন বিষিয়ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের নিজেস্ব ডিজাইন দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ডিজাইনগুলো ক্রেতাদের পছন্দ হলে কিনে নেয়। এ ধরনের একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজটি আপনি প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ থেকে শুরু করতে পারেন।
গ্রাফিকস ডিজাইন করে অনলাইনে আয়

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।

ওয়েব ডিজাইন
এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।

কনটেন্ট রাইটিং
যাঁরা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে। কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারা বেড়ে যায়।

Share this article :

0 comments :

Contact Form

Name

Email *

Message *

 

About Author

Recent Comments